কলকাতা: একের পর এক লজ্জাজনক হার প্রদেশ কংগ্রেসের৷ মাস কয়েক আগে কংগ্রেস গড় মুর্শিদাবাদ সম্পূর্ণরূপে হাত ছাড়া হয় অধীরবাবুদের৷ এবার চার কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে নোটার থেকেও কম ভোট পেলেন কংগ্রেস প্রার্থী৷ যা নিয়ে ফের বঙ্গ রাজনীতিতে কংগ্রেসের ‘প্রাসঙ্গিকতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ কেউ কেউ বলছেন, ‘২০২৪ সালের লোকসভা তো অনেক দূর কি বাত!’
২ নভেম্বর মঙ্গলবার গোসাবা, শান্তিপুর, খড়দহ ও দিনহাটা বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে৷ চার কেন্দ্রেই বিপুল ভোটে জিতেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা৷ তাঁদের প্রাপ্ত ভোটের ধারেপাশে নেই কংগ্রেস প্রার্থী৷ শান্তিপুরের কংগ্রেস প্রার্থী রাজু পাল মাত্র ২৮৩৬টি ভোট পেয়েছেন৷ ভোট শতাংশে তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১.৪ শতাংশ৷ অথচ, ওই কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী ৬৪ হাজার ২২ ভোটে জিতেছেন৷
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের বেলা ৩.৪৪ মিনিটের তথ্য অনুযায়ী সমস্ত রাজনৈতিক দলের থেকে পিছিয়ে রয়েছে কংগ্রেস৷ তাতে বলা হচ্ছে, কংগ্রেস মাত্র ০.৩৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে৷ সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নোটা পেয়েছে ১.০৭ শতাংশ এবং অন্যান্য ০.৫৭ শতাংশ৷
আরও পড়ুন-‘হ্যাপি দিওয়ালি’, চার কেন্দ্রে সবুজ ঝড়ে বেসামাল বিজেপিকে খোঁচা মেরে টুইট অভিষেকের
নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী, প্রার্থী হওয়ার জন্য ‘সিকিউরিটি ডিপোজিট’ হিসেবে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হয়। সেই কেন্দ্রে প্রাপ্ত ভোটের এক ছয় শতাংশ ভোট পেতে হয়৷ তবেই জামানত থাকে৷ কিন্তু, প্রার্থী জামানত রাখতে না পারলে সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করে কমিশন। শান্তিপুরের উপ-নির্বাচনে সেই অবস্থায় হল রাজু পালের৷ ঠিক একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অন্যান্য বাম প্রার্থীদের যেমন জমানাত জব্দ হয়েছিল৷ এ বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘ সংগঠন না থাকায় শান্তিপুর উপ-নির্বাচনের রেজাল্ট খারাপ হয়েছে৷’