লেঃ লাদাখ সীমান্ত নিয়ে বরাবরই ভারত এবং চীন দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা থাকে তুঙ্গে। ভারতের সেনা অফিসারদের অভিযোগ, প্রায়শই সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এগিয়ে আসে চীনা সেনা বা লালফৌজ। গতবছর ১৫ জুন রাতে গালওয়ান উপত্যকায় অতর্কিতে ভারতীয় সেনাদের ওপর হামলা চালায় চীনা সেনা। এই হামলায় মৃত্যু হয় ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের। পাল্টা ভারতীয় সেনার হাতে জখম হয় লাল ফৌজ বাহিনীও। এরপরই পাহাড়ি এলাকায় তাঁদের সেনাদের সীমাবদ্ধতা বুঝতে পেরে নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরাল চীন। এমনটাই দাবি করেছেন, ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াত।
আরও পড়ুনঃ ভারতে ছাড়পত্র পাওয়ার চূড়ান্ত পর্বে রয়েছে ফাইজার
সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে একটি সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার বিপিন রাওয়াত জানিয়েছেন, গালওয়ান ভ্যালিই শুধু নয়, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রনরেখা বরাবরও চীন তার লালফৌজ সরিয়ে নিয়েছে। তাঁর বক্তব্য, মূলত হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে লড়াইয়ের জন্য যে ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার হয় তা লাল ফৌজের নেই। সেটা বুঝেই সেনাবাহিনীর অবস্থান সরাল চীন। ভারতীয় সেনারা এসব দিক দিয়ে অনেক বেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাই গত বছর আচমকা হামলা করা হলেও পাল্টা জবাব দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। তাতেই পিছু হটেছে লালফৌজ।
আরও পড়ুনঃ কাশ্মীরের জন্যই মজুত পরমাণু অস্ত্রঃ ইমরান
তাঁর দাবি, ওই অঞ্চলে চীন যেসব সেনা মোতায়েন করেছিল তাঁরা মূলত বেসামরিক পরিবার থেকে উঠে আসা। খুব স্বল্প সময়ের ব্যবধানে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ছাড়াই তাঁদের হিমালয়ের পার্বত্য উপত্যকায় নিযুক্ত করেছিল চীন। কিন্তু ভারতীয় সেনার সঙ্গে পেরে উঠবে না বুঝেই পিছু হটেছে তাঁরা। তিনি এদিন বলেন, চীনের প্রতিটি গতিবিধির ওপর তীক্ষ্ন নজর রাখছে ভারত। এইভাবে সেনা সরানোর মানেই হচ্ছে, তাঁরা আরও শক্তি সঞ্চয় করে ফেরত আসবে। যার জন্য বেশি করে সতর্ক থাকতে হবে ভারতীয় সেনাকে।