এবার পর্যটনমন্ত্রীর কাছে বর্ষায় চাপরামারি ও মেদলা নজরমিনার খোলা রাখার আবেদন রিসর্ট মালিক ও জিপসি চালকদের। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। সেখানেই তাঁর কাছে এই আবেদন জানালেন সেখানকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুনঃ সেঞ্চুরি গড়ার পথে পেট্রোল
করোনা বিধিনিষেধের কারণে কোমর ভেঙেছে পর্যটন ব্যবসার। চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটছে রিসর্ট মালিকদের। বিধিনিষেধ থাকায় প্রায় দুমাস পর্যটকের দেখা নেই জঙ্গলে। রোজগারপাতি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে আবার গত ১৬ জুন থেকে বর্ষার কারণে প্রতি বছরের মতো তিন মাসের জন্য সমস্ত জঙ্গল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এই মুহূর্তে পর্যটকদের দেখা মেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গল বন্ধ থাকার জন্য সমস্যায় পড়েছেন জিপসি চালক সহ রিসর্ট মালিকেরা। মূলত গরুমারা ও চাপরামরি জঙ্গলকে কেন্দ্র করে মূর্তি, ধুপঝোরা, চালসা, বাতাবাড়ি, মঙ্গলবাড়ি, মাথাচুলকা এলাকার পর্যটন ব্যবসা চলে। টানা এই জঙ্গল বন্ধের জেরে পর্যটক না আসায় ওই সমস্ত এলাকার অর্থনৈতিক অবস্থার আরও অবনতি হবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ আমের কেজি লাখ টাকা, পাহারায় রক্ষী কুকুর
এই পরিস্থিতিতে বর্ষার তিন মাস চাপরামারি ও গরুমারার মেদলা নজরমিনার পর্যটকদের জন্য খোলা রাখার আবেদন জানানো হল এদিন। সেই উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার রিসর্ট মালিকদের সংগঠন গরুমারা টুরিজম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও মূর্তি জিপসি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনকে ওই আবেদনের ভিত্তিতে লিখিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এদিন সকালে মূর্তি বাতাবারি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে গিয়ে দুই সংগঠনের প্রতিনিধিরা মন্ত্রীকে ওই লিখিত কপি জমা দেন। মন্ত্রী তাঁদের এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। সংগঠনের তরফে জানানো হয়, চাপরামারি ও মেদলা নজরমিনার দুটো মূল জঙ্গল থেকে অনেকেটাই বাইরে। গত বছর বর্ষায় চাপরামারি নজরমিনার পর্যটকদের জন্য খোলা ছিল। গত বছরের মতো এবছরও যাতে সেগুলো খোলা রাখা হয় সেই বিষয়ে এদিন মন্ত্রীকে জানানো হয়। এর আগে ওই দুই সংগঠনের তরফে এ কথা বনমন্ত্রীকেও পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি জঙ্গল বন্ধের সময়ে জিপসি গাড়ির কর মুকুবের আবেদনও জানানো হয় এদিন।