কোচবিহার: দিনহাটা কেন্দ্রের নির্বাচনের জন্য নমিনেশন জমা দিলেন তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ। বৃহস্পতিবার সকালে শিব কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে দিনহাটা মহকুমা শাসকের দফতরে নমিনেশন জমা দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী। বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেতার নমিনেশন জমা দেওযাকে কেন্দ্র করে দলীয় সমর্থকদের উচ্ছাস ছিল চোখে পড়ার মতো। নিজেও খোশমেজাজে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। এদিন উদয়ন গুহের সঙ্গে ছিলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি গিরীন্দ্র নাথ বর্মন, রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী এবং উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় সহ অন্যান্যরা।
অন্যদিকে, বুধবার রাতে দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক অশোক মন্ডলই এবার বিজেপির প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন দিনহাটা কেন্দ্র থেকে। এদিন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী উদয়ন গুহ বলেন, “আজকে আমরা মনোনয়ন পত্র দাখিল করলাম। বিজেপি প্রার্থীকে কোনও ব্যক্তি হিসেবে আমরা দেখছি না। আমাদের পদ্মফুলের বিরুদ্ধে লড়াই। সারা বাংলার মানুষ যে ভাবে পদ্মফুলকে পিষে দিয়েছে। এখানেও দিনহাটার মানুষ পদ্ম ফুলকে ছুড়ে ফেলবে।”
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন মমতা, আমন্ত্রণ জানানোর পরও অনুপস্থিত বিজেপি বিধায়করা
শিব কালী মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন উদয়ন গুহ
এদিন তৃণমূলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন- “তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় রথ সারা বাংলায় চলছে। দিল্লির দিকে এগোচ্ছে মাঝখানে আর কোনো বাধা নেই। দিনহাটা কোন প্রতিবন্ধকতায় নেই। এখন শুধু বিজয় সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার অপেক্ষায়।”
আরও পড়ুন: গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জেরবার, ভোটের মুখে ‘অশান্ত’ শান্তিপুরের পদ্ম শিবির
গত ৩ অক্টোবর ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েই রাজ্যের বাকি কেন্দ্রগুলির দলীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই দিনহাটা কেন্দ্রের জন্য উদয়ন গুহের নাম ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী। এছা়ডাও খড়দহ থেকে প্রার্থী হচ্ছেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, শান্তিপুর থেকে মতুয়া সম্প্রদায়ভুক্ত ব্রজকিশোর গোস্বামকেই প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব ।
গত বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহার এবং উত্তরবঙ্গে আশানুরূপ ভাল ফল করতে পারেনি তৃণমূল । উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ আসনেই জয় ছিনিয়ে নেয় গেরুয়া শিবির । কোচবিহারের দিনহাটা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েন নিশিথ প্রামানিক । তিনি বিধায়ক পদে জয়ী হলেও নিজের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাননি । সেই কারণে সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী বিধায়ক পদ থেকে প্রথা মেনেই ইস্তফা দেন নিশিথ প্রামানিক । তারপরেই ওই আসনে উপনির্বাচন প্রয়োজন হয়ে ওঠে । এবার উদয়নের হাত ধরে নিশিখ গড়ে ঘাসফুল ফোটাতে মরিয়া তৃণমূল নেতৃত্ব ।