কলকাতা: সকাল থেকেই সাজো সাজো রব। ব্যান্ড, তাসা পার্টি। সবুজ কার্পেটে মোড়া হয়েছে গোটা চত্বর। দিনভর রাজনৈতিক কচকচানিতে উত্তপ্ত রাজ্য বিধানসভার ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা ছিল বৃহস্পতিবার। কারণ একটাই, তা হল মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ। এ দিন বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুপুর ২টোয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন। প্রথা বহির্ভূতভাবেই রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও বাকি দুই বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান। সাধারণত উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার।
আরও পড়ুন: বাপুর জন্মদিনে হিংসা নিয়ে রাজ্যকে খোঁচা ধনখড়ের, পাল্টা তৃণমূল বলছে রাজ্যপাল ‘দলদাস’
সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় স্পিকারের সেই ক্ষমতা কেড়ে নেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। রাজভবনে শপথ অনুষ্ঠান হতে পারে, এমন জল্পনাও ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত রাজ্যের অনুরোধ মেনে মুখ্যমন্ত্রীকে বিধানসভায় শপথবাক্য পাঠ করাতে রাজি হন রাজ্যপাল। বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে কোভিড বিধি মেনে শপথ অনুষ্ঠান হয়।
রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের ‘ভার্চুয়াল’ তিক্ততা থাকলেও এ দিন হাসিমুখেই বিধানসভায় প্রবেশ করেন রাজ্যপাল। স্পিকারকে নমস্কারও জানান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও অন্য দুই নবনির্বাচিত বিধায়ক আমিরুল ইসলাম এবং জাকির হোসেনকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়ে খোঁচা দিতে গিয়ে রাজ্যের কড়া আক্রমণের মুখে রাজ্যপাল
নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাপস রায়, মুকুল রায়, সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একঝাঁক তৃণমূল নেতা। আমন্ত্রণ জানানোর সত্ত্বেও এ দিনের শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়করা।