‘মার্কস ইন সোহো’ এই একক অভিনয়ের নাটকটি ১৯৯৯ সালে লেখেন মার্কিন ইতিহাসবিদ হ্যাওয়ার্ড জিন। নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটন অঞ্চলের একটি পাড়ার নাম সোহো। বিংশ শতাব্দি ব্যাপী এই অঞ্চলটির পরিচিতি হলো বহু নামজাদা শিল্পীর সৃজনশৈলীর সংরক্ষণাগার এবং প্রদর্শশালা হিসেবে। ট্রেন্ডি বুটিকের দোকান।এছাড়াও বহুবিধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সামগ্রীর বিপণন কেন্দ্র হিসেবে জায়গাটির খ্যাতি আছে। কার্ল মার্কস কখনো এ জায়গায় আসেননি। কিন্তু ইতিহাসবিদ জিন তার নাটকে কল্পনায় পারিবারিক মানুষ হিসেবে কাল মার্কসকে এই শিল্প- পাড়ায় নিয়ে এসেছিলেন। এই নাটকে দেখানো হয়েছিল মাক্স তার স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণ পোষণের জন্য কিভাবে সংগ্রাম করেছেন।সংসারি মার্কস বলতে যা বোঝায়। খুব কম মানুষই তাঁকে এভাবে চিনতেন। এভাবেই লেখক তার নাটকে উনিশ শতকের এই অবিসংবাদিত দার্শনিককে দেখিয়েছেন। নাটকের পটভূমি-মৃত্যুর একশ বছর পর কাল মার্কস কি সত্যি সোহোতে বা এই পৃথিবীতে ফিরছেন! সত্যি কি তাঁর ফেরার প্রয়োজনীয়তা আছে! এই যে পৃথিবীতে আমরা বাস করছি যেখানে নানা বৈষম্য রয়েছে, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জীবন যেখানে মূল্যহীন হয়ে পরছে। যেখানে মানুষের মধ্যে এত অসহিষ্ণুতা। প্রায় গোটা বিশ্ব যেখানে পুঁজিবাদের দাস সেখানে কাল মার্কস কি এসব থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে আবার ফিরছেন? এসবই জানা যাবে এই নাটকের নানান স্তরে। বোঝা যাবে শুধু একজন দার্শনিক নন, একজন ব্যক্তিমানুষ কার্ল মার্কসকে। ইংরেজি সহ বিভিন্ন ভাষায় নাটক বহুবার মঞ্চস্থ হয়েছে। এবার বাংলায় এই নাটক ‘সোহোতে মার্কস’ মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। আগামীকাল এবং পরশুদিন বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে নাটকটি মঞ্চস্থ হবে। গতকাল সন্ধ্যায় ইতিমধ্যে একটি শো হয়েছে। নাটকটি পরিচালনা করেছেন নায়লা আজাদ।পরিচালকের ইচ্ছে এ নাটক কলকাতাতেও মঞ্চস্থ করার।