কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : মাদককাণ্ডে জামিন পেলেন না শাহরুখ ও গৌরী খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান। আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত আরিয়ান-সহ তাঁর দুই বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচাকে এনসিবি হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত নিল আদালত। তদন্তের স্বারথেই তাঁদের এই হেফাজত বলে জানিয়েছে আদালত।
রবিবার মাদককাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান। এদিন জামিনযোগ্য ধারাতে আরিয়ানকে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি। তবে, জামিনযোগ্য ধারাতে গ্রেফতার করলেও বিশেষ আদালতে জামিন পাননি আরিয়ান।
শাহরুখ পুত্রের জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। দীর্ঘ শুনানির পর আইনজীবীর আর্জি খারিজ করে আদালত। এই বিষয়ে আদালত জানিয়ে দেয়, যে নিষিদ্ধ মাদক এনসিবি পেয়েছে সেই সম্পর্কে অভিজুক্তদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে তাঁদের এনসিবি হেফাজতে রাখা প্রয়োজন।
কর্ডেলিয়া ক্রুজ নামক প্রমোদতরণীতে তিনদিন এক মিউজিক্যাল যাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। পনেরোশো যাত্রী নিয়ে মুম্বই থেকে গোয়া রওনা হয়েছিল ওই বিলাসবহুল প্রমোদতরী। কর্ডেলিয়া ক্রুজে ক্রে’আর্ক নামক ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ফ্যাশনটিভি ইন্ডিয়া। যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলিউড, ফ্যাশন, বাণিজ্যজগতের বিভিন্ন সদস্যরা।
আরও পড়ুন – আরএসএস- এর বিরুদ্ধে মন্তব্য, অভিযোগ দায়ের জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে
আগে থেকে খবর পেয়ে শনিবার সেই বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে হানা দেয় নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো অর্থাৎ মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার আধিকারিকরা। সেখান থেকেই শাহরুখ পুত্র আরিয়ান, তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু-সহ মোট ৮ জনকে আটক করে এনসিবি। আরিয়ান ও তাঁর বন্ধুরা ছাড়া বাকিরা হলেন নুপুর সাতিজা, ইস্মিথ চন্দা, মহাক জাসওয়াল, গোমিত চোপড়া ও ভিক্রন্ত ছোক্কার।
রবিবার আরিয়ানকে এনসিবি গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময়
এরপর রবিবার টানা জেরার পর গ্রেফতার করা হয় শাহরুখ খান ও গৌরী খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান এবং তাঁর দুই বন্ধুকে। আরিয়ানের কাছেও মিলেছে নিষিদ্ধ মাদক ও নগদ ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা। আরিয়ানের কাছে উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ মাদকের মধ্যে রয়েছে ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ৫ গ্রাম মেফেড্রোন ও ২২টি এমডিএমএ (একস্ট্যাসি) পিলস।
আরও পড়ুন- আরিয়ানের পাশে সলমন,সুনীল
এরপর ১ দিনের হেফাজত দেওয়া হয় আরিয়ান খান ও তাঁর বন্ধুদের। সোমবার জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আদালতের কাছে এনসিবি ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত আরিয়ান ও তাঁর বন্ধুদের হেফাজত চায়। আদালত ১৩ অক্টোবরের বদলে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবি হেফাজত মঞ্জুর করে।