আরামবাগ: দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতির জন্য আগেই ডিভিসিকে দায়ী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা ঘটনাকে ‘ম্যান ম্যাড বন্যা’ বলে আখ্যাও দিয়েছিলেন। শনিবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর ডিভিসি, কেন্দ্র ছাড়াও ঝাড়খণ্ড সরকারকেও একহাত নেন মমতা।
ঝাড়খণ্ড সরকারের বিরুদ্ধেও অসন্তোষ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডিভিসির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঝাড়খণ্ড সরকার জল ছেড়েছে। প্রয়োজনে ঝাড়খণ্ড সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনা করুক। একটা প্ল্যানিং তৈরি করুক, মাস্টার প্ল্যান হোক। কেন্দ্রীয় সরকার সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য টাকা দিক।
আরও পড়ুন: ‘ম্যান মেড বন্যা’ নিয়ে ডিভিসিকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
ঝাড়খণ্ড সরকারের বিরুদ্ধেও খাল এবং বাঁধ না সংস্কার করার অভিযোগ আনেন মমতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সময়মতো বাঁধগুলি সংস্কার করলে বানভাসি পরিস্থিতি তৈরি হত না। কেন্দ্রীয় সরকার এবং ঝাড়খণ্ড সরকারকে আলোচনায় বসার আহ্বানও জানান মমতা। মাইথন, পাঞ্চেতে ড্রেজিং করা হয় না বলেও অভিযোগ তোলেন মমতা।
আরামবাগে বন্য কবলিত কালীপুর ঘুরে দেখেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ডিভিসি রাত তিনটের সময় রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই জল ছেড়েছে। সব মিলিয়ে সাড়ে ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। জুলাই মাসে ১ লক্ষ ১২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। সেখানে এ বছর মাত্র দু’দিনে সাড়ে ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দু’মাসে তিন বার বন্যা খানাকুলে, জলের তলায় বহু গ্রাম
ডিভিসির ছাড়া জলে রাজ্যের ৮ জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, বীরভূমের বেশ কয়েকটি ব্লক প্লাবিত। মোট ১ লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে।