আরামবাগ: বর্ষা বিদায় নেওয়ার সময় চলে আসলেও জলযন্ত্রণা নেই রক্ষা নেই বঙ্গবাসীর। টানা বর্ষণ তো রয়েইছে, তার উপর ডিভিসির বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ায় প্লাবিত হুগলি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। আরামবাগ শহরের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও গোটা খানাকুলের পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। পুরশুড়া ব্লকও প্লাবিত হয়েছে।
পূর্ব ও পশ্চিম খানাকুলের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে। পূর্ব খানাকুলে মুন্ডেশ্বরী নদীর জল উপচে গ্রামের পর গ্রাম ভাসিয়ে দিয়েছে। বাঁধ ভেঙেও জল ঢুকছে বিভিন্ন এলাকায়। পান শিউলি, মারোখানা, শবল সিংহপুর, চিংড়া, নতিবপুর, তাঁতিশাল, বালিপুর, উদনা প্লাবিত হয়েছে। এই এলাকাগুলির প্রায় প্রত্যেকটি রাস্তা জলমগ্ন।
আরও পড়ুন: আজ আকাশপথে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে মমতা
পানশিউলি ও মারোখানা বাজারে মানুষ সমান জল। দোকান পাট, যান চলাচল সব কিছুই বন্ধ। পশ্চিম খানাকুলে রূপনারায়ণ ও দ্বারকেশ্বর নদীর জল ঢুলে আবারও প্লাবিত হয়েছে বন্দর, ধান্যঘোড়ি, কাকনান, ঘোড়াদহ সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। আরামবাগের বহু রাস্তা নদীর আকার নিয়েছে। সব মিলিয়ে পুজোর আগে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
চাষাবাদ বন্ধ, দোকানপাট বন্ধ থাকায় রুজি-রুটিতে টান পড়েছে খানাকুলবাসীর। সরকারি ত্রাণেই ভরসায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। খানাকুলের রায়বাঁধের শেখ রোমান জানান, দু’মাসে তিনবার বন্যা হল গ্রামে। কী করে চলবে। বাড়িতে খাবারও নেই, চাষের জমি জলের তলায়।
আরও পড়ুন: রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য ফের ডিভিসিকে কাঠগড়ায় তুললেন মমতা
অনিমা খাঁ আরেক গ্রামবাসী বলেন, চারিদিকে জলে ডুবে আছে। পানীয় জলের আকাল দেখা দিয়েছে। জল ক্রমেই বাড়ছে। যে বাড়িতে এখন রয়েছি, সেটাও ছাড়তে হবে। বাকি সব চিন্তা ভুলে এখন জীবন বাঁচানোর লড়াই চলছে।