কলকাতা : বেসরকারি স্কুলের বেতন নিয়ে যতই সমস্যা থাকুক কোনও পড়ুয়াকে স্কুল থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। একইসঙ্গে বেতন দেওয়া না থাকলেও পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে। শুক্রবার বেসরকারী স্কুলগুলিকে এই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
রাজ্যের বেসরকারি স্কুল গুলিকে বেতন কমানোর নির্দেশ আগেই দিয়েছিল হাইকোর্ট। এবার স্কুলের বেতনের কারণে যাতে ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনায় না ক্ষতি হয় সেই বিষয়টিও নজরে রাখল আদালত।
বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন জানায়, রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিকে অভিভাবকরা যদি বেতন দিতে না পারে কিংবা বেতন বাকি পড়ে থাকে তাহলে যেন ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায় ক্ষতি না হয়। এই বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও আদালত জানিয়েছে, কোনও স্কুলের বিরুদ্ধে এই বিষয়ে অভিযোগ উঠলে সেই স্কুলের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজ্যের বেসরকারি স্কুল গুলি বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কারণ লকডাউনের সময় টিউশন ফি ছাড়া ও স্কুল বাসের ভাড়া অন্যান্য বেশ কিছু ফি জমা দিতে বলছিল বেসরকারি স্কুলগুলি।
আরও পড়ুন – পুজো মণ্ডপ ‘নো এন্ট্রি’ জোন, দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, নির্দেশ হাই কোর্টের
সেই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট দুটি ভাগে বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ারও ব্যবস্থা করল অভিভাবকদের জন্য। আদালতের নির্দেশ, ২৫ অক্টোবরের মধ্যে একদিকে বকেয়া বেতন, অন্যদিকে যে বকেয়া নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, সেই অংকের টাকাও স্কুলকে মেটাতে হবে। স্কুল ওই টাকা পৃথকভাবে জমা রাখবে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত।
আরও পড়ুন – ‘ম্যান মেড বন্যা’ নিয়ে ডিভিসিকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
২৫ অক্টোবরের পর স্কুলগুলি পৃথকভাবে কত টাকা কোন পড়ুয়ার থেকে পাওয়া গেল, এ ব্যাপারে তালিকা তৈরি করবে। আগামী ৩ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানিতে সেই তালিকা আদালতকে জমা দিতে হবে স্কুলগুলিকে।