কলকাতা : ত্রিপুরায় সফরের অনুমতি পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী বিল্পব দেব করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন সেখানে। সেই কারণেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা বাতিল করা হয়েছিল। অথচ সেই ত্রিপুরা করোনাবিধি শিকেয় তুলে সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব নিজেই। এই বিষয়ে তৃণমূলের ত্রিপুরার টুইটার থেকে একটি টুইট করা হল সোমবার।
সেই টুইটে বিপ্লব দেবের একটি ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিন শট দেওয়া হয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিপ্লব দেব তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র বনমালীপুরের চন্দ্রপুরে এক সাংগঠনিক সভার আয়োজন করেছেন। যে সভায় যথেষ্ট ভিড়ও চোখে পড়ে। এরপর সেই ছবিই পোস্ট করা হয় অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের টুইটার পেজ থেকে। ক্যাপশনে লেখা হয়, একই রাজ্যে দুটি নিয়ম। যেখানে ১৪৪ ধারা লাগু করা রয়েছে সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব নিজের রাজনৈতিক কর্মসূচি রাখছেন। এছাড়াও বলা হয় তিনি রাজ্যের বিচার ব্যবস্থা নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেছেন। এটাই কী গণতন্ত্র ? এই প্রশ্নও তোলা হয়।
Same state but different rules? Despite section 144 being imposed, @BjpBiplab conducted a political program. Earlier, he made outrageous comments about the Hon'ble Judiciary.
Is this Democracy? pic.twitter.com/TpNU4kYs3T
— AITC Tripura (@AITC4Tripura) September 27, 2021
আরও পড়ুন – ভবানীপুরে টার্গেট করে পরিকল্পনামাফিক হামলা তৃণমূলের, অভিযোগ দিলীপের
দিন কয়েক আগেই এক অনুষ্ঠানে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন বিপ্লব দেব। তিনি বলেন, ‘যিনি সরকার চালান তাঁর হাতে সব ক্ষমতা। জেলে যাওয়ার জন্য পুলিশ চাই। পুলিশ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে। পুলিশ যদি বলে আমরা কাউকে খুঁজে পাইনি। আদালত কী করবে?’ এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক।
বনমালীপুরের চন্দ্রপুরে বিপ্লব দেবের কর্মসূচির ছবি
আরও পড়ুন- ভিড়ের মধ্যে তুলকালাম, দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে বন্দুক উঁচিয়ের অভিযোগ
অন্যদিকে ত্রিপুরায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ২২ সেপ্টেম্বর তৃণমূলের পদযাত্রার কর্মসূচি ছিল। আর ১৯ তারিখ ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারার নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে খুব স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার কোথাও সভা-সমিতি বা জনসমাবেশ করা যাবে না। মূলত করোনা ঠেকাতেই এই নির্দেশিকা। আগামী দীপাবলি পর্যন্ত ওই নির্দেশিকা বহাল থাকবে বলে জানানো হয় সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে। অথচ এই ধারা জারি থাকার পরও কীভাবে বিপ্লব দেব নিজেই রাজনৈতিক কর্মসূচি করছেন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।