গুয়াহাটি: দখলদার তাড়াতে বন্দুক উঁচিয়ে এগিয়ে চলেছে রাষ্ট্রের বাহিনী। লাঠি হাতে একা তাদের প্রতিহত করতে এগিয়ে আসছে এক যুবক। প্রতিবাদী যুবকের দিকে এগিয়ে গিয়ে শুরু হল বাহিনীর পালটা জবাব। তারমধ্যেই চলল গুলি। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সব শেষ। মৃত্যু ঘটল প্রতিবাদী যুবকের। তারপরে সেই মৃতদেহের উপরে একাধিকবার হামলা চালাল এক চিত্রগ্রাহক।
গত কয়েকদিনে ওই ঘটনার ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। রবিবার অসমের দাড়াং জেলার ঢোলপুর গ্রামে মৃত মইনুলের বাড়িতে যান সিপিআইএমএল লিবারেশন-এর এক প্রতিনিধিদল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিনিধিরা ছিলেন ওই বামপন্থী সংগঠনের দলে। পাশাপাশি স্থানীয় এআইকেএস দলের প্রতিনিধরাও ছিলেন।
আরও পড়ুন- ভবানীপুর জেতার পর অন্য রাজ্যেও যাব, দেশ ছাড়া করব বিজেপিকে: মমতা
এদিন মৃত মইনুল এবং শেখ ফারিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা। মৃতদের পরিজনদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওই বাম নেতৃত্ব বলেন, “মইনুল হক এবং শেখ ফারিদকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার জন্য অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে পদত্যাগ করা উচিত। এবং দাড়াং-এর পুলিশ সুপারকে গ্রেফতার করা উচিত।”
দখলদার উচ্ছেদের জন্য চলতি সপ্তাহে ঢোলপুর গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। অস্ত্রধারী পুলিশের মোকাবিলা করতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হয় মইনুল হক এবং ফারিদ শেখকে। ওই অভিযানেই ঢোলপুর গ্রামের অনেক বাড়িতে ভাঙচুর চালায় সসস্ত্র পুলিশ। এলাকার ৯৯ শতাংশ মানুষ সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। সেই কারণেই বিজেপি পরিচালিত সরকার ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিআইএমএল লিবারেশন। অবিলম্বে সকলের ঘড় মেরামত করে দেওয়ার দাবিও করেছে তারা।
আরও পড়ুন- দাবি মতো চাঁদা না দেওয়ায় কচুরি বিক্রেতাকে ফুটন্ত তেলে ফেলার অভিযোগ