গুয়াহাটি: অসম হিংসার নেপথ্যে রয়েছে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া বা পিএফআইয়ের হাত। শনিবার এমনটাই জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। গত সপ্তাহে অসমে দারাং জেলায় উচ্ছেদ চলাকালীন গ্রামবাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে পুলিশের। সূত্রের খবর ওই ঘটনায় কমপক্ষে নয় পুলিশ কর্মী এবং দুজন সাধারন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও ঘটনাটির ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। ভিডিওতে পুলিশের সঙ্গে লাঠি হাতে কয়েকজন গ্রামবাসীকে সংঘর্ষে লিপ্ত থাকতে দেখা যায়।
ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে লাঠি হাতে পুলিশের দিকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। পরিস্থিতি সামলাতে ওই ব্যক্তিকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক প্রহার করে পুলিশ। সেই ভিডিও প্রকাশ পেতেই ছড়ায় চাঞ্চল্য। ঘটনাটি নিয়ে শোরগোল পড়ে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার পদত্যাগের দাবিতে অসম ভবনে বিক্ষোভ
যদিও মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ওই এলাকায় প্রতিটি মানুষকেই ২৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীকে উস্কে দিতে পিএফআই সক্রিয় ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান এই ঘটনায় সক্রিয় মদতের জন্য ৬ জন সন্দেহভাজন পিএফআই সদস্যের নাম জানতে পেরেছে তাঁর সরকার। গোটা ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের কথা ঘোষণা করেছে অসম সরকার।
আরও পড়ুন: ‘অনুপ্রবেশ’ নিয়ে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে রাজ্যের অবস্থান কী, জানতে চায় হাই কোর্ট
যদিও এই ঘটনার সূত্রপাত বেশ কয়েক বছর আগে। বিজেপি অসমে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জবরদখলকারীদের হঠানো শুরু করে। রাজ্যের অনেক বাসিন্দা উচ্ছেদের বিরোধিতা করলেও তাতে কর্ণপাত করেনি গেরুয়া শিবির। করোনার জেরে উচ্ছেদ অভিযান মাঝে কিছুদিন বন্ধ ছিল। হিমন্ত বিশ্বশর্মা মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর ফের উচ্ছেদ শুরু হয়।