ওয়াশিংটন: মার্কিন মুলুকে এবার সন্ত্রাস নিয়ে সুর চড়াল কোয়াড গোষ্ঠীও। দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপে মদতের অভিযোগে পাকিস্তানকে পরোক্ষ ভাবে কাঠগড়ায় তুলল এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার এই শক্তিশালী গোষ্ঠীটি।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়াকে সুরক্ষিত রাখতে সমস্তরকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। আফগানিস্তান ছাড়াও কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাস দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানান কোয়াড গোষ্ঠীর চার নেতা। যারমধ্যে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রিমিয়ার যোশিহিদে সুগা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোয়াড গোষ্ঠীর প্রথম নেতা হিসেবে বক্তৃতা রাখেন হোয়াইট হাউজের ইস্টরুমে।
সীমান্তপার সন্ত্রাস নিয়েও তীব্র নিন্দাও করা হয় কোয়াডের বৈঠকে। যার অর্থ, আফগানিস্তান এবং সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে পাকিস্তানকেই একরকম কড়া বার্তা দেওয়া হল বলেই মনে করছে কূটনৈতিকমহল। সন্ত্রাসবাদ ইস্যু উঠতেই স্বাভাবিকভাবে আলোচনায় উঠে আসে আফগানিস্তানের প্রসঙ্গও। আফগানিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার পাশাপাশি সেখানকার নারী ও শিশু নিরাপত্তা নিয়ে সর্বদা সচেতন থাকাবে কোয়াড। এছাড়াও কোনও ব্যক্তি যদি আফগানিস্তান ছেড়ে আসতে চায় সেই মানবাধিকারকে সর্বদা সমর্থন জানাবে কোয়াড।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে সন্ত্রাস দমনই প্রধান লক্ষ্য, যৌথ বিবৃতিতে জানাল কোয়াড
এছাড়াও আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থানের পেছনে পাকিস্তানের ভূমিকাকেও অস্বীকার করেনি ওই চার দেশীয় গোষ্ঠীটি। পাকিস্তানে দীর্ঘদিন ধরেই আশ্রয় পেয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত জঙ্গি নেতারা। তারই প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সন্ত্রাসের যোগ নিয়ে কড়া মনোভাব দেখাল কোয়াড।
উল্লেখ্য, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চীনকে প্রতিহত করতে কোয়াড গোষ্ঠীটি তৈরি করা হয়। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের নৌবাহিনীর প্রভাব রুখতে এর আগে একাধিকবার যৌথ কিংবা সম্মিলিত নৌ মহড়া চালিয়েছে কোয়াড সদস্যেরা। ভারত, আমেরিকা ও জাপানের সম্মিলিত নৌ মহড়া মালাবার এক্সারসাইজ যারমধ্যে অন্যতম।
আরও পড়ুন: সমগ্র বিশ্বের কল্যাণের জন্য কাজ করবে QUAD: মোদি
কিন্তু গত কয়েকমাস থেকে আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থানের পর সন্ত্রাসবাদ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে গোষ্ঠীটি। সেই ইস্যুতে সন্ত্রাস নিয়ে কোয়াডের কড়া বার্তা ইসলামাবাদকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলবে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।