রায়গঞ্জ: অনেকদিন ধরেই বেসুরো রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani)৷ যত দিন যাচ্ছে তৃণমূলে (TMC) যোগদানের জল্পনা আরও জোরদার হচ্ছে৷ শোনা যাচ্ছে, পার্টি অফিস থেকে বিজেপি সাইনবোর্ডও সরিয়ে ফেলেছেন৷ সেই থেকে বিজেপির আরও একটা বিধায়ক সংখ্যা কমার অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল৷
শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত উত্তরবঙ্গের বিজেপি শিবিরে নামছে একের পর এক ধস৷ চলতি মাসেই উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় তৃণমূলে যোগ দেন৷ তার পর থেকে জল্পনা চলছে কৃষ্ণ কল্যাণীকে নিয়েও৷
আরও পড়ুন: আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ, উপাচার্যের দিল্লি সফর চলাকালীনই শোকজ বিশ্ব-ভারতীর অধ্যাপক
কিছুদিন আগে কৃষ্ণ কল্যাণী সাংবাদিক বৈঠক করে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। দলীয় সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকারের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। রায়গঞ্জের বিধায়কের অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই জেলা কমিটি গঠন করা হয়। বাসুদেববাবু সংগঠনের সবাইকে নিয়ে চলেন না। তিনি মুষ্টিমেয় কয়েকজনকে নিয়ে চলা পছন্দ করেন।
অফিসের বাইরে বিজেপি বিধায়কের ছবি৷ শুক্রবার৷ নিজস্ব ছবি৷
তার পরই দলের সমস্ত কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার অন্তরাত্মা বলেছে যে সাংবাদিক বৈঠক করে সব জানানো প্রয়োজন, তাই বলছি। যেখানে বিধায়কের সম্মান নেই, সেখান থেকে সরে যাওয়াই ভালো। বাসুদেববাবু বলেছিলেন, বাঁশি ওনার হাতে। উনি বাঁশি বাজিয়ে সংগঠন চাঙা করুন, আমি বিধায়ক হিসেবে দলের কাজ করব।’