নয়াদিল্লি: ২০২৮ সালের মধ্যে দেশে হিন্দু এবং মুসলিমদের জনসংখ্যা সমান হবে। মুসলিমদের প্রজনন হার হিন্দুদের তুলনায় বেশি হওয়ার কারণেই এমনটা হবে। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা রাজ্যসভার সাংসদ দিগ্বিজয় সিং এই দাবি করেছেন। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিং বুধবার একটি সভায় বক্তব্য রাখার সময় এই প্রসঙ্গে কথা বলেন। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভিডিওতে তিনি রীতিমতো ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে ২০২৮ সালের মধ্যে উভয় সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা সমান হবে। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি একটি গবেষণা প্রতিবেদন পড়েছি, যা পুরোপুই আদমশুমারির তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ১৯৫১ সাল থেকে মুসলমানদের মধ্যে প্রজনন হার কমেছে, যদিও এখনও তা হিন্দুদের তুলনায় কিছুটা বেশি।’
আরও পড়ুন: ‘গান্ধীকেই ছাড়িনি, তুমি কে হে?’ বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের হুমকি, গ্রেফতার হিন্দু মহাসভার নেতা
#WATCH | A study shows that since 1951, decline in fertility rate in Muslims has been more than that in Hindus. Today, fertility rate in Muslims is 2.7% & 2.3% in Hindus. By this rate, it will be equal in Hindus & Muslims by 2028: Congress leader Digvijaya Singh (22.09) pic.twitter.com/2AtAtRj2fp
— ANI (@ANI) September 23, 2021
রিপোর্ট বলছে, এভাবে চললে ২০১৮ সালে জনসংখ্যা নিরিখে হিন্দু মুসলমান কাছাকাছি চলে আসবে। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বর্তমানে দেশে মুসলমানদের প্রজনন হার ২.৭ শতাংশ। সেখানে হিন্দুদের মধ্যে এই হার ২.৩ শতাংশ। এই হারে প্রজনন চললে, ২০২৮ সালের মধ্যে জনসংখ্যা হিন্দু এবং মুসলমান প্রায় সমান হবে।’
আরও পড়ুন: ‘হিন্দু খতরে মে….’, কাল্পনিক দাবি, জানাল কেন্দ্র
এই সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিজেপি ও মিমের দিকে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন দিগ্বিজয়। তাঁর দাবি, হিন্দু ও মুসলিমদের ভুল বোঝান হচ্ছে। মোদি মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে যাবে বলে হিন্দুদের সাবধান করছে। আবার অপরদিকে মিম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি হিন্দু পপুলেশন বেড়ে যাবে বলে মুসলিমদের সাবধান করছে। তাঁরা উভয়েই মিথ্যা প্রচার করছেন এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।