কলকাতা: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পড়ুয়া, উভয়ের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। বিশ্ব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
আরও পড়ুন : আদালতের নির্দেশের ৪৮ ঘণ্টা পর বিজ্ঞপ্তি, ক্লাসে ফিরছেন বিশ্বভারতীর ‘বহিষ্কৃতরা’
তিনি বলেন, “বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আন্দোলনে ইন্ধন জোগাচ্ছে বেশ কিছু বহিরাগতরা। ছাত্রদের বোঝাতে হবে যে, এই রাজনীতির কারবারিরা নিজেদের স্বার্থে তাঁদের ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। তাই এসব করার আগে যে কাজের জন্য তাঁরা বিশ্বভারতীতে আছেন অর্থাৎ পঠন-পাঠন তার ওপর জোর দেওয়া উচিৎ।” বিচারপতি রাজশেখর মান্থার আরও জানান যে, “এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের যে এই ধরণের একটা বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে ক্রমাগত নীচের দিকে টেনে নামানোর চেষ্টা হচ্ছে। এতে কোনও পক্ষই তার দায় অস্বীকার করতে পারে না। উপাচার্য এবং প্রশাসনিক কর্তাদের আরও অনেক নমনীয়তার সঙ্গে অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে হবে। ” বুধবার এই কথাই জানালেন পর্যবেক্ষণ বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।
আরও পড়ুন : হাইকোর্টের নির্দেশে আন্দোলন প্রত্যাহার বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের
তিন জন ছাত্রছাত্রী তাঁদের ক্লাস করতে না দেওয়ার বিষয়ে বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে তা খারিজ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে তাঁরা আবারও ক্লাস করতে পারবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি রাজ শেখর মান্থা। যেসব অধ্যাপকদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বা ছাঁটাই করা হয়েছে, তাঁদের বিষয়টিও পুনরায় বিবেচনা করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়কে। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, বহিষ্কৃত পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি পথে যেতে পারে। পড়ুয়াদের আন্দোলনের কারণে উপাচার্যের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার থেকে নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হচ্ছে।