কলকাতা: বেহালার পর্ণশ্রীর মা-ছেলে খুনে ধৃত সুস্মিতা মন্ডলের মাসতুতো ভাইদের পুলিশ হেফাজত দিল আদালত৷ ধৃত ভাই সঞ্জয় দাস ও সন্দীপ দাসকে সোমবার আলিপুর আদালাতে তোলা হয়৷ চুরি যাওয়া মোবাইল, ঘরের চাবি খোঁজসহ একাধিক কারণে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে চায় পুলিশ৷ পুলিশের আবেদনে সাড়া দিয়ে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত৷
৬ অগস্ট মা ও ছেলের গলা কাটা জোড়া দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় পর্ণশ্রী থানা এলাকার সেন পল্লীর একটি ফ্ল্যাটে। মৃত মা’য়ের নাম সুস্মিতা মন্ডল (ছেলে নাবালক)। রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা, ডিসি ডিডি স্পেশাল দেবস্মিতা দাস, ডিসি স্বাতী ভাঙ্গালিয়া। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ বাহিনী।
মৃত মা সুস্মিতা মণ্ডল ও ছেলে তমোজিৎ মণ্ডল৷ নিজস্ব চিত্র৷
আরও পড়ুন-১২ দিন পর কলকাতার দৈনিক করোনা সংক্রমণ একশোর নীচে
এই ঘটনায় মৃত সুস্মিতা মণ্ডলের দুই মাসতুতো ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ সোনার গয়না ও টাকার লোভে তারা বোনকে খুন করেছিল৷ প্রচুর ধারদেনা হয়ে গিয়েছিল দুই অভিযুক্তের৷ তাই বোনের থেকে সোনার গয়না হাতাতেই খুন করে৷ বাচ্চাটি মাকে খুন করতে দেখে ফেলে৷ তাই তাকেও খুন করে দুই ভাই৷ পুলিশের কাছে অপরাধ স্বীকার করে দুজনে৷ দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে৷ তাদের বাড়ি শ্যামপুকুর থানার মহেশতলা এলাকায়৷
এই ঘরেই দুজনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়৷ নিজস্ব চিত্র৷
আরও পড়ুন-মন্ত্রিসভার নতুন সিদ্ধান্ত, পুজোর আগেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ধৃতরা বোনের বাড়ি যায়৷ ওই সময় বোনের বাড়ির বাকি সদস্যরা বাড়িতে থাকবে না বলেই জানত তারা৷ পুলিশি জেরায় তারা আরও জানিয়েছে, বোনের বাড়ি যাওয়ার কিছু পরে ভাগ্নের অনলাইন ক্লাস শুরু হয়৷ সমস্যা এড়াতে তার ঘরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু, মাকে খুন করতে দেখে ফেলে ছেলেটি৷ তাই প্রমাণ লোপাটে তাকেও খুন করা হয় বলে ধৃতরা পুলিশকে জানিয়েছে৷