কলকাতা : লঘু পাপে গুরু দণ্ড দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের বহিষ্কারের বিষয়টি নিয়ে এ কথা জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের বক্তব্য়, শাস্তি হিসেবে বহিষ্কার অনেকটাই বেশি। আর তাই ওই সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ। বুধবার আদালত জানিয়েছে, বহিষ্কার হওয়া ছাত্ররা বৃহস্পতি বার থেকেই ক্লাস শুরু করতে পারবে।
একই সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্য়ালয় চত্বরে কোনও রকম বিক্ষোভ করা যাবে না। এর আগেই আদালত জানিয়েছিল বিশ্ববিদ্য়ালয়ের গেটের পঞ্চাশ মিটার বাইরে বিক্ষোভ করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। নতুন নির্দেশে সেটিও বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশ মেনে ছাত্ররা বিক্ষোভ তুলে নেবে কিনা সেই বিষয়ে জানা যায়নি।
আদালত জানিয়েছে, বহিষ্কার সংক্রান্ত বিষয় ছাত্ররা আদালতের কাছে আবেদন জানাতে পারবেন। যে সমস্ত অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁরাও আদালতের কাছে সাসপেনশনের বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে পারবেন।
আরও পড়ুন – উপাচার্য বিতর্কে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠনের
বেশ কয়েক বছর আগে বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি উপাচার্যের আসনে বসার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। রবীন্দ্রনাথ জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন শান্তিনিকেতনে। সেই শান্তিনিকেতনেই নাকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘বহিরাগত’। এ ধরনের বিভিন্ন মন্তব্য করে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি।
বিতর্কিত মন্তব্য ছাড়াও তাঁর কাজকর্মের প্রতিবাদ করায় ১২ জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকাকে আগেই সাসপেন্ড করেছিল বিশ্বভারতী। এছাড়াও অর্থনীতি এবং সংগীত বিভাগের মোট ৩ জন পড়ুয়াকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। পরবর্তীতে সাসপেনশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সম্প্রতি তিন পড়ুয়াকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- ‘নিঃস্ব ভারতী’তে পরিণত হয়েছে বিশ্বভারতী, অনুপমের আক্ষেপে আমল দিচ্ছে না তৃণমূল
এর পর ২৭ অগস্ট থেকে বিক্ষোভে বসেছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া থেকে অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মীদের একাংশ। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ দাবি না মানা পর্যন্ত প্রত্যাহার করা হবে না এই কর্মসূচি। বিতর্ক এতই চরমে ওঠে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে মামলা করা হয় হাইকোর্টে। বুধবার সেই মামলার রায় দিল আদালত।