কলকাতা: গলা কেটে মা ছেলেকে নৃশংস খুনের ঘটনায় একাধিক প্রশ্নতে ধোঁয়াশায় গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত ও সন্দেহভাজন খুনিদের বক্তব্যে মিল পাওয়া যাচ্ছে না। এক একজন এক এক রকম দাবি করছেন। ঠিক তেমনি প্রাথমিক তদন্ত ভিন্ন রকম তথ্য উঠে আসছে। এরফলে চিন্তা বাড়ছে গোয়েন্দাদের। কারণ তারা একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না। উত্তর খুঁজতে ফের বেহালার সেন পল্লীর ওই ফ্ল্যাটে যাবেন গোয়েন্দারা।
সূত্রের খবর, খুন করার পর ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘরোয়া দাপিয়ে বেড়ালেও ঘর থেকে কোনও জিনিসই খোয়া যায়নি। কোন জিনিস লন্ডভন্ড হয়নি। তাহলে কী উদ্দেশ্যে খুন করা হল দুজনকে? ঘটনার আগে মা-ছেলে খুনিকে দেখে চিৎকার করলো না কেন? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুজবেন গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা।
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা ঘটনাস্থলে।
আরও পড়ুন- সেক্টর ফাইভ ভুয়ো কল সেন্টার কাণ্ডে গ্রেফতার মূল পান্ডা
এদিকে, সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় মৃতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মৃতের স্বামীর বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতিও ধরা পড়েছে। এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মৃত কিশোরের গৃহশিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ওই গৃহশিক্ষক পুলিশকে জানিয়েছেন, ভিতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। বেল বাজানো, ডাকাডাকি করে কারো সাড়া শব্দ না পেয়ে পড়াতে এসেও ফিরে যান। মৃতের স্বামী তপন মণ্ডলের দাবি, তিনি বাড়িতে এসে ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান।
ঘটনাস্থলে কলকাতা পুলিশ।
আরও পড়ুন-ট্রেনে ‘কলকাতা টু চেন্নাই’, মন্ত্রী বিরবাহাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট ইজরায়েলের
পুলিশের অনুমান, সোমবার বিকাল তিনটে থেকে পাঁচটার মধ্যে দু জনকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। যে সময়ে (২-৪) ধৃত তপন মণ্ডলের ফোন বন্ধ ছিল। এ সময় তিনি কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন। কার কার সঙ্গে কথা বলেছিলেন তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন-ব্যারাকের মধ্যে অস্বাভাবিক মৃত্যু সাব-ইন্সপেক্টরের, পরিকল্পিত খুনের অভিযোগ স্ত্রী’র
সোমবার বেহালার পর্ণশ্রী থানা এলাকার সেন পল্লীর একটি ফ্ল্যাটে মা সুস্মিতা মন্ডল এবং ছেলে তমজিত মন্ডলের রক্তাক্ত দেহউদ্ধার হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা, ডিসি ডিডি স্পেশাল দেবস্মিতা দাস, ডিসি স্বাতী ভাঙ্গালিয়া। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় লালবাজারের হোমিসাইড শাখা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ বাহিনী।