কৃষিক্ষেত্রে কীটনাশক ব্যবহার না করে শত্রু পোকার আক্রমণ থেকে ফসলকে বাঁচাতে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্য নিল রাজ্য সরকার। ক্ষেত খামারে কৃষক ভাইদের কাছে উন্নত প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে এগিয়ে এল রাজ্যের কৃষি দফতর। কৃষক উপকারী পোকাকে ধ্বংস না করে , শত্রু পোকার আক্রমণকে দমন করতে হলুদ ও নীল আঠালো ফাঁদ কিংবা ফেরোমন ফাঁদ, আলোর ফাঁদ ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। কী ভাবে তা ব্যবহার করতে হবে, সেই বিষয়ে ব্লক স্তরের কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন কৃষি আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন : কৃষক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে মৃত ১০৪ জনের পরিবারকে চাকরি দিচ্ছে পঞ্জাব সরকার
গ্রীষ্মকালীন কিংবা শীতকালীন বীজ রোপণের পর ফসল যখনই সবুজ হয়ে ওঠে , তখন শত্রু পোকার প্রাদুর্ভাব ঘটে। বিঘার পর বিঘা ফসল নষ্ট করে দেয় শত্রু পোকা। ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় কৃষকদের। এই শত্রু পোকার হাত থেকে ফসলকে বাঁচাতে কীটনাশক ওষুধের ব্যবহার ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কৃষিক্ষেত্রে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কীটনাশকের ব্যবহার দৈনন্দিন জীবনে কুপ্রভাব ফেলছে। তেমনি সচেতনতার অভাবে বিষ প্রয়োগে অনেক সময় কৃষকরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। কৃষি বিজ্ঞানীরা মনে করেন, কীটনাশক ওষুধ ব্যবহার করলে উপকারী পোকা, শত্রু পোকা দুটোই মারা যায় । শুধু তাই নয়, অনেক সময় কিট শত্রুরা কীটনাশক সহনশীল ও কীটনাশক প্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারে। তাই কীটনাশক ওষুধ ব্যবহার না করে নীল হলুদের ফাঁদ, ফেরোমন ফাঁদ কিংবা আলোর ফাঁদ ব্যবহার করে শত্রু পোকাকে নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন : এডিট করা ভিডিও, সাফাই কৃষকদের মাথা ফাটানোর নির্দেশ দেওয়া জেলাশাসকের
কৃষি ক্ষেত্রে বেশি লাভের মুখ দেখতে হলে সুসংহত সহজ পদ্ধতির উপরও জোর দেওয়ার কথা বলছেন কৃষি আধিকারিকরা। নাইট্রোজেন যুক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে কৃষিক্ষেত্রে বেশি শত্রু পোকার প্রাদুর্ভাব ঘটে। তাই পটাশ যুক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি শত্রু পোকার আক্রমণে ২০ শতাংশ বেশি ফসল নষ্ট হলে, তবেই সবুজ রংয়ের কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে। লাল বা হলুদ কীটনাশক কখনও ব্যবহার করা সমীচীন নয়।