লখনউ: ফের শিরোনামে উঠে এল হিন্দুদের দেবতা জ্ঞানে পুজো করা গরু। এই গোমাতা নিয়ে গত কয়েক বছরে অনেক বিতর্ক হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের গরুকে মা সম্বোধন করাকে কটাক্ষ করে থাকে বিরোধীরা। এবার গরুর মৌলিক অধিকার দেওয়ার এবং গরুকে জাতীয় পশু হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব দিল আদালত।
বুধবার এমনই প্রস্তাব দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ভারতের মধ্যবর্তীস্থানে অবস্থিত শহর এলাহাবাদ। গোবলয়ের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত ওই আদালতের প্রস্তাব ঘিরে আলোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে। গত সাত বছরে ভারত জুড়ে হিন্দুত্ববাদীদের উত্থান ঘটেছে বলে দাবি করেন অনেকে। এই অবস্থায় উচ্চ আদালতের গরু সম্পর্কিত রায় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন- এত নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই, অকপট স্বীকারোক্তি দিলীপের
এদিন আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে গরু ভারতের সংস্কৃতির একটি অংশ। গরুকে মৌলিক অধিকার দেওয়া উচিত এবং জাতীয় পশু ঘোষণা করা উচিত। ভারতের পুরনো শাস্ত্র বেদ এবং মহাভারতে গরুর উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি শেখর কুমার যাদব। সেই সঙ্গে গরুর অর্থনৈতিক গুরুত্বের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
ভারতীয় গরু।
হিন্দুরা যে গরুকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করে সেই বিষয়টিও শোনা গিয়েছে বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের মুখে। আর সেই আবেগ দেশের সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত বলেও জানিয়েছেন তিনি। বিচারপতি বলেছেন যে যখন দেশের একটা বড় অংশের মানুষের সংস্কৃতি এবং বিশ্বাসে আঘাত লাগে তখন দেশ দুর্বল হয়ে যায়। এলাহাবাদ হাইকোর্টের ১২ পাতার রায়ে এমনই জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- নেশা ও দেহ ব্যবসার কারবার রুখতে তারকেশ্বরে হোটেলে অভিযান তৃণমূলের
খুব স্বাভাবিকভাবেই উচ্চ আদালতের এই রায় শুনে বেজায় খুশি গোরক্ষকেরা। উত্তরপ্রদেশের গো-সেবা আয়োগ চেয়ারম্যান শ্যাম নন্দন সিং বলেছেন, “আমরা আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি এবং উচ্চ আদালতের প্রশংসা করছি। আদালত এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যার জন্য সমাজ দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিল। আদালত বলেছে যে গরু শুধু একটি পশু নয় বরং ভারতীয় সংস্কৃতির একটি অংশ।”
উত্তরপ্রদেশের গো-সেবা আয়োগ চেয়ারম্যান শ্যাম নন্দন সিং
আরও পড়ুন- আফগান পরিস্থিতি নিয়ে কানাডার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা জয়শঙ্করের