কলকাতা: পরপর দুই দিনে বিজেপিকে জোড়া ধাক্কা দিল তৃণমূল। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির দুই বিধায়ক। সোমবার বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। মঙ্গলবার একই পথ অনুসরণ করলেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস।
এই দুই বিধায়ক রাজ্যের দুই প্রান্তের জনপ্রতিনিধি। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের বিধায়ক হলেন তন্ময়বাবু। বিশ্বজিৎ দাস উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বাগদার বিধায়ক। এই দুই বিধায়কের মধ্যে আরও একটি সাদৃশ্য হচ্ছে এরা সকলেই একসময়ে তৃণমূলেই ছিলেন। পরে গায়ে গেরুয়া নামাবলী চাপিয়ে নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- তালিবান-আফগান গতিবিধি নজরে রাখতে জয়শঙ্কর-দোভালকে নির্দেশ মোদির
পুরনো দলে ফিরে যাওয়ার পরে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেছেন, “ভুল বোঝাবুঝির কারণে দল বদল করেছিলাম। সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। নিজের ভুল বুঝতে পেরে ফের তৃণমূলে ফিরে এলাম।” জনপ্রতিনিধির কাজ মানুষের পাশে থেকে উন্নয়ন করা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আগামী দিনে সেই কাজ মন দিয়ে করবেন বলে জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ দাস।
বিশ্বজিতের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিছেন তৃণমূল নেতৃত্ব
মঙ্গলবার তপসিয়ার তৃণমূল ভবনে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিতের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এদিন বাগদার বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে একজন প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং আরও জনা কয়েক রাজনৈতিক কর্মী বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
কাকলি-পার্থ
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিপুল সাফল্য পায় বিজেপি। প্রথমবারের জন্য এই রাজ্য থেকে ১৮টি আসনে জেতেন পদ্মের প্রার্থীরা। তারপরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বিশ্বজিতের তৃণমূলে যোগের জল্পনা তৈরি হয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং-এর সঙ্গে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন বিশ্বজিৎ।
আরও পড়ুন- কাস্তে-হাতুড়ি মুছে নেতাজির দেখানো তেরঙ্গায় ফিরছে ফরওয়ার্ড ব্লক
সেই সময়েই ওই দুই বিজেপি বিধায়কের তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও তা হয়নি। দু’জনেই বিজেপির টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেন। সুনীল সিং পরাজিত হলেও বাগদা কেন্দ্রে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। সেই বিধায়কই ফের যোগ দিলেন তৃণমূল শিবিরে। যা খুব স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী বিজেপি শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা।