কাবুল: পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মার্কিন সেনা আফগানিস্তান থেকে বিদায় না নিলে তার “ফলাফল ভালো হবে না”। সোমবার এই মর্মেই হুঁশিয়ারি দিল তালিবান। আফগানিস্তানের সদ্য ক্ষমতা দখলকারী জঙ্গি গোষ্ঠীটির এই হুমকিতে আফগান পরিস্থিতিতে নয়া মোড় এল বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। উল্লেখ্য আগামী ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের মাটি থেকে সমস্ত সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার কথা আমেরিকা ও ন্যাটোর। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমেরিকা ও ব্রিটেন যদি আগামী সপ্তাহের পরেও আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় তার ফলাফল ভালো হবে না বলে স্পষ্ট ভাষায় জানালেন তালিবানের মুখপাত্র মুহাম্মদ সোহেল শাহিন।
আফগানিস্তান থেকে ৩১ আগস্ট এর মধ্যেই সেনা প্রত্যাহার নিয়ে নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। কিন্তু এই অল্প সময়ে সেনা প্রত্যাহার ও শরণার্থীদের উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেয় ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেইসঙ্গে বাইডেনের সিদ্ধান্তে সমালোচনার ঝড় উঠছে আমেরিকার ঘরোয়া রাজনীতিতেও। তাই এমন পরিস্থিতিতে ঘরে ও বাইরে চাপের মুখে বাইডেন প্রশাসন। তারই প্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা আরও বাড়ানো যায় কিনা সেই নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। আর তারপরই তালিবানের এই প্রতিক্রিয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: কাবুল বিমান বন্দরে আফগান সেনার সঙ্গে বন্দুক বাহিনীর সংঘর্ষে মৃত ১, জখম ৩
#UPDATE The Taliban warned on Monday there would be “consequences” if the United States and its allies extend their presence in Afghanistan beyond next week, as chaos continued to overwhelm #Kabul airport https://t.co/n8TF6QJqBO pic.twitter.com/oro2WCEoB0
— AFP News Agency (@AFP) August 23, 2021
গত এক সপ্তাহ হয়েছে কাবুলের ক্ষমতা দখল করেছে তালিবান। যদিও পঞ্জশিরের মত প্রদেশ গুলিতে এখনও নিজেদের সাদা পতাকা উড়াতে পারেনি তালিবান। তবুও নয়া ইসলামিক এমিরেটস সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু করেছে মোল্লা বারাদাররা। হেরাত হেলমান্দ এর মত আফগান প্রদেশগুলোতে ফতোয়া জারি করা শুরু করেছে তালিবান। তাই ক্ষমতা দখলের পর নিজেদের মতো করে ঘর গোছানোর মাঝে মার্কিনিদের উপস্থিতি একেবারেই পছন্দ নয় জঙ্গী গোষ্ঠিটির।
আরও পড়ুন: আফগান শিশুদের মূলস্রোতে ফেরাতে মরিয়া আমেরিকা
পঞ্জশিরের মতো বেশকিছু প্রদেশে ইতিমধ্যেই তালিবান বিরোধিতা শুরু হওয়াতে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে তালিবানকে। কাবুলের পতনের পর গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস বক্তৃতায় বাইডেন বলেছিলেন ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়লে সন্ত্রাসবাদ দমনে আফগানিস্তান কিংবা মধ্যপ্রাচ্যেও সেনা অভিযান চালাতে পারে আমেরিকা। একদিকে ঘরেও যখন ধীরে ধীরে বিদ্রোহ আঁচ বাড়ছে , তখন আফগান মাটিতে মার্কিনীদের উপস্থিতি নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছে তালিবান। এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।