কলকাতা: দলে তরুণ মুখ বেশি করে আনা হবে? নাকি প্রবীণদের আধিক্যই বরাবরের মত থাকবে? ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে সিপিএমের নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার পর এই প্রশ্নই বারে বারে ঘুরে ফিরে এসেছে। শুক্রবার আলিমুদ্দিনে বৈঠকে ঠিক হয়, দলের সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে প্রবীণ কমরেডরা পার্টিতে থাকবেন কি না?
সিপিএম মানেই পাকা চুলের দল এটা প্রবাদ হয়ে গিয়েছিল। দলে পরিচিত তরুণ মুখ বলতে দীর্ঘদিন ধরে ছিলেন শতরূপ ঘোষ। এবারের নির্বাচনের মুখে একটু পরিবর্তন এনে মীনাক্ষী, ঐশী সহ বেশ কিছু তরুণ মুখকে ভোটে দাঁড় করিয়েছিল লাল দল। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই সিপিএমের সাংগঠনিক স্তরে পরিবর্তন করার আওয়াজ উঠেছিল দলের তরফে। কিন্তু কালো চুলদের কতোটা জায়গা ছাড়া হবে দলে তা নিয়েই দোনামনা ছিলই। বার বার বৈঠকের শেষে শুক্রবার ঠিক হয়, যে প্রবীণ নেতার জনভিত্তি এখনও বর্তমান শুধু তাঁদেরই পার্টিতে রাখতে চাইছে সিপিএম। আগেই জানানো হয়েছিল, ৮০ নয়, ৭৫ বছরের ঊর্ধ্বে কেউই স্থান পাবেন না কেন্দ্রীয় কমিটিতে। এবার রাজ্যের ক্ষেত্রে সেই সিদ্ধান্ত নিল আলিমুদ্দিন।
এই বিষয়ে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মত নিতে চাইছে তারা। এরিয়া কমিটি থেকেই বয়সের বিষয়টাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফলে, কমিটিগুলোর আসন্ন সম্মেলনে কোনও প্রবীণ নেতা যদি বয়সের নিরিখে পদ থেকে সরে যান, সে ক্ষেত্রে বাকি সদস্যদের মতামত নেওয়া হবে। যদি সংশ্লিষ্ট নেতার কমিটিতে থাকার পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠের মত মেলে, তবেই বিষয়টা কার্যকর হবে। আলিমুদ্দিন থেকে জানানো হয়েছে, যদি একটি কমিটিতে সদস্য সংখ্যা ২০ জন হয় তবে একজন বয়স্ক নেতার সরে যাওয়ার বিপক্ষে ১১ জন সওয়াল করেন, তবে সংশ্লিষ্ট নেতা দায়িত্বে পুনর্বহাল হবেন।
আরও পড়ুন: রাজীব গান্ধির ৭৭ তম জন্মদিবস, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানালেন রাহুল
যদিও, বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রর সরে যাওয়া নিয়ে কার্যত নিশ্চিত পার্টি। কারণ, এই দুই পলিটব্যুরো নেতাকে পার্টির রাজ্য কমিটি বয়সের কারণ দেখিয়ে সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সাংগঠনিক কাজে ব্যবহার করতে চাইছে। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলী এবং রাজ্য কমিটি বলে জানিয়েছে আলিমুদ্দিন।
আরও পড়ুন: সিপিএম সংযুক্ত মোর্চার মালিক নয়, চাইলে বেরিয়ে যাক: নওশাদ