আগরতলা: একুশের বিধানসভা ভোটে তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তারপরই তিনি ধাপে ধাপে দিল্লি দখলের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন৷ যার অন্যতম পদক্ষেপ রাজ্যে রাজ্যে দলীয় সংগঠন গড়ে তোলা৷ ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় এই কাজ অনেকটাই সফল হয়েছেন৷ সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের একাধিক নেতামন্ত্রী ত্রিপুরা গিয়েছেন৷ যাবেনও৷ ধীরে ধীরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ছেড়ে বহু মানুষ তৃণমূলে যোগ দান করছেন৷ যার অন্যতম উদাহরণ কংগ্রেস ত্যাগী সুস্মিতা দেব৷
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টরদের নেতৃত্বে ৯৬ অফিসার
বৃহস্পতিবারও আরগতলায় ৬০ পরিবারের প্রায় ২৩৫ জন সিপিএম, বিজেপি-সহ অন্যান্য দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সেই যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন WB INTTUC সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ব৷ তাঁর হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়েই তৃণমূল যোগদেন বিভিন্ন দলত্যাগীরা৷ ক্রমশ তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধিতে উচ্চসিত ত্রিপুরা তৃণমূল কর্মীরা৷ এই যোগদান পর্ব শেষে ত্রিপুরা তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করা হয়৷
https://twitter.com/AITC4Tripura/status/1428265897769062401?s=20
আরও পড়ুন- চতুর্থ স্তম্ভ: আহা গণতন্ত্র, বাহা গণতন্ত্র(19/08/21)
বাংলায় বিজেপিকে রুখে দেওয়ার পরে এখন তৃণমূলের পাখির চোখ উত্তর-পূর্ব ভারত। সেই লক্ষ্যে আসরে নেমেছে ঘাস ফুল শিবির। এরই মাঝে বুধবার বড় তথ্য ফাঁস করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাস ফুলের পতাকাতলে আসতে চলেছেন ত্রিপুরা বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার জিতেন সরকার।
আরও পড়ুন- বেশ কিছু মন্ত্রীর কাজে রুষ্ট মমতা, খরচ কমাতে নির্দেশ
এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে ত্রিপুরার কংগ্রেসের বর্ষীয়াণ নেতা জিতেন সরকার নিজে চিঠি লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। সেখানেই তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর সঙ্গে বহু রাজনৈতিক কর্মী তৃণমূল যোগ দেবেন বলেও দাবি করেছেন মমতা।
আরও পড়ুন- এখনই মিলছে না লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি: মমতা
এই বিষয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছেন, “ত্রিপুরাতে ডেমোক্র্যাসির ডি নেই, আইন-শৃঙ্খলা নেই, কেউ পছন্দ করছে না এই সরকারকে। আমার সঙ্গে কথা হয়েছে জিতেন সরকারের, ত্রিপুরার বর্ষীয়াণ নেতা। স্পিকার ছিলেন, পাঁচ বারের বিধায়ক, তৃণমূলে আসতে চান। আমি অভিষেকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমরা ত্রিপুরায় জিতব। পশ্চিমবঙ্গের সকল প্রকল্প ওই রাজ্যেও কার্যকর করা হবে।”
আরও পড়ুন- মার্কসবাদীদের মঞ্চে অনিন্দ্য, রুপা: মন ভাঙলো শ্রীলেখা রাহুলের
ত্রিপুরার রাজনীতিতে জিতেন সরকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ওই রাজ্যের রাজনীতি সম্পর্কে তাঁর বিপুল অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে জিতেনের তৃণমূলযোগ নতুন নয়। ২০১৬ সালে আচমকা বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়েই শোনা গিয়েছিল যে ঘাস ফুলের পতাকা হাতে তুলে নিতে চলেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন স্পিকার।
আরও পড়ুন- আফগানিস্তানে তালিবান সরকার গঠন নিয়ে কাবুলে পরপর গোপন বৈঠক
অন্যদিকে, সপ্তাহ খানেক ধরে ত্রিপুরার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তৃণমূল। দলের একাধিক নেতানেত্রীকে পুলিশের মামলা দেওয়ার মাধ্যমে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে। তারপরে তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নেতানেত্রীদের ওই রাজ্যে গিয়ে বিক্ষোভ দেখানো ঘিরে বিষয়টি আরও বড় হয়ে ওঠে। এরই মাঝে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অসমের কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব। যিনি হাত শিবিরের শীর্ষস্তরের নেত্রী ছিলেন। এই সকল ঘটনা উত্তর-পূর্ব ভারতে তৃণমূলকে অনেকটাই প্রাসঙ্গিক করে তুলছে।