নয়াদিল্লি: জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে টানা দিন দশকের সম্পর্কত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সুস্মিতা দেব। আগামী দিনে ঘাস ফুলের পতাকা নিয়েই রাজনৈতিক লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন অসমের এই নেত্রী। যদিও এই ঘটনাকে দল ভাঙানো বলে মানতে নারাজ তৃণমূল। এমনই দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।
আরও পড়ুন- চেন্নাইয়ের বাসিন্দার থেকে ৪ কেজি চোরাই সোনার বিস্কুট উদ্ধার শিলিগুড়িতে
সোমবার শিলচর থেকে কলকাতায় এসে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগদান করেন সুস্মিতা। পরের দিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান যে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প নেই। সেই কারণে তাঁর নেতৃত্বেই ঘাস ফুলের পতাকাতলে থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন সুস্মিতা দেব।
আরও পড়ুন- একই ব্যক্তির ছবি দিয়ে অসংখ্য আধার নম্বর, ই-ওয়ালেট জালিয়াতির নয়া মোড় বাঁকুড়ায়
বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ তোলা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসের শীর্ষস্তরের নেত্রী। যার সঙ্গে রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। যদিও এই ঘটনাকে দল ভাঙানো বলে মানতে নারাজ তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর মতে, “আমরা কোনও দল ভাঙায়নি। আমাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য কাউকে চাপ দিইনি। যারা আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনে আমাদের সঙ্গে লড়াই করতে চেয়েছেন তাঁদের আমরা স্বাগত জানিয়েছি।”
আরও পড়ুন- মোদি সরকারের তিন নীতিতে দুর্বল হয়েছে অর্থনীতি: রাহুল গান্ধী
সুস্মিতা দেব-র দলত্যাগ নিয়ে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা কপিল সিব্বল বলেছেন, “যুব নেত্রীরা দল ছাড়ছে মানে সেটা আমাদের প্রবীণদের ব্যর্থতা।” এই বিষয়ে অপর কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন, “সুস্মিতা যথেষ্ট বড় হয়েছেন। নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাঁর আছে। ওর সঙ্গে এই ব্যাপারে এখনও আমার কোনও কথা হয়নি। না কথা বলে আমি কোনও মন্তব্য করব না।”
আরও পড়ুন- জাগো বাংলায় লিখে ‘শাস্তি’, অজন্তাকে সাসপেন্ড করল সিপিএম
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সন্তোষ মোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা। কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। হাত শিবিরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামাল দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলে যোগ দিলেও কংগ্রেস বা হাত শিবিরের নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কোনও বিরোধ নেই বলে দাবি করেছেন সুস্মিতা। তাঁর কথায়, “রাহুল-সোনিয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুললেও রাজনৈতিক লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই থাকব।”