কলকাতা: আরজিকর হাসপাতালে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে জুনিয়র ডাক্তারদের দফায় দফায় বিক্ষোভেও মিলল না সমাধান সূত্র। গত একমাস ধরে অচলাবস্থা চলছিল ওই হাসপাতালে। জটিলতা চরম আকার ধারণ করে সোমবার থেকে। ছাত্র সংসদ গঠন, সংগঠন থেকে ৩ জন ছাত্রকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি ও লেডিজ হস্টেলের বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে কলেজের বিরুদ্ধে অস্বচ্ছতার অভিযোগে সরব হয় আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা। অভিযোগ একাধিকবার কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা তা মানতে নারাজ। ঘটনার জেরে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয় পড়ুয়ারা। চলে বিক্ষোভ ও ঘেরাও। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত পুলিশের উপস্থিতিতে বৈঠক হলেও এখনও বেশ কয়েকটি বিষয়ে মতের অমিল রয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে। বিক্ষোভের খবর পেয়ে মধ্যরাতেই আর.জি.করে উপস্থিত হন তৃণমূল সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন। ছাত্র বিক্ষোভের কারণ সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সামনে সরাসরি তিনি কিছু জানাননি।
আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভ: বিশ্বাসঘাতক
তবে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই রফাসূত্র মিলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছাত্রীরা প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে দাবি করতেই পারেন বলে জানান শান্তনু সেন। আর.জি.কর হালপাতালে পড়ুয়া ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি হয়। অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে চলে স্লোগান। এরপরই ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। বিক্ষোভকারী ছাত্রদের একাংশে অভিযোগ, তারা ছাত্র সংগঠন তৈরি দাবি জানালে তা মানতে নারাজ ছিল কর্তৃপক্ষ। ঝামেলার সূত্রপাত হয় সোমবার। পড়ুয়াদের অভিযোগ অধ্যক্ষ নিজের ক্ষমতায় ছাত্র সংসদ ইউনিটকে নিয়ন্ত্রণ করে। অধ্যক্ষ জানান, নবগঠিত ছাত্র সংসদ এখনই গঠন হচ্ছে না। হস্টেল সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানেরও আশ্বাস দেন তিনি। দীর্ঘক্ষণ ঘেরাওয়ে শিক্ষক-চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে মঙ্গলবার রাতে সাময়িকভাবে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে দাবি না মানলে আগামীদিনে ছাত্র আন্দোলন আরও বড় আকার ধারন করবে বলে জানান আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ার।