জাতীয় জুনিয়র ক্রিকেট নির্বাচনমন্ডলীতে ঢুকছেন বাংলার প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার ডান হাতি মিডিয়াম পেসার রণদেব বোস। মেয়াদ শেষ হওয়া চলতি কমিটিতে তিনি আসছেন, ওড়িশার প্রাক্তন জাতীয় মিডিয়াম পেসার দেবাশিস মহান্তির জায়গায়। আগামী বছর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। এই নুতন কমিটি সেই দল নির্বাচন করবে।
পূর্বাঞ্চল থেকে লড়াই ছিল, বাংলা সিনিয়র নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান প্রাক্তন রঞ্জি ব্যাটসম্যান শুভময় দাসের। ২০০৭ সালে রণদেব জাতীয় দলের সঙ্গে ইংল্যান্ড সফরে ছিলেন। মোট ৯১ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। ৩১৭ টি উইকেটও নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: BCCI: ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু ২১ সেপ্টেম্বর
এই নুতন কমিটির চেয়ারম্যান পদে বসতে চলেছেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন অধিনায়ক এবং দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ সফল শ্রীধরণ শরথ। বাঁ হাতি এই ব্যাটসম্যানটি এখন বিসিসিআইয়ের ম্যাচ রেফারি। শারথ অবশ্য একসময় অসমের হয়েও রঞ্জিতে খেলেছেন। তবে তিনি তামিলনাড়ুর প্রথম ক্রিকেটের যিনি ১০০ টি রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ খেলেছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৫ বছর খেলেছেন। ৮৭০০ রান করেছেন। আর ১৩৯ টি ম্যাচে সেঞ্চুরি ছিল ২৭ টি। ব্যাটিং গড় ছিল: ৫১। সেই সময় তিনি জাতীয় জায়গা করে নিতে পারেননি। তখন রাহুল দ্রাবিড়-ভি ভি এস লক্ষ্মণ আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।
উত্তরাঞ্চল থেকে আসছেন পঞ্জাবের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান – অলরাউন্ডার কৃষ্ণান মোহন। যিনি ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৫ এর মধ্যে তিনি ৪৫টি ম্যাচ খেলেছেন।
আরও পড়ুন: আইসিসিরও ভরসা বিসিসিআই !
মধ্যাঞ্চল থেকে নেওয়া হচ্ছে মধ্য প্রদেশের মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার-অলরাউন্ডার হরভিন্দর সিং সোধিকে। যিনি ৭৬ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ২০০০ এর বেশি রান এবং ১৭৪ টি উইকেট পেয়েছিলেন। তিনি এই মুহুর্তে বিসিসিআই ম্যাচ রেফারিও।
বোর্ড সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, কয়েকদিনের মধ্যে এঁদের নাম ঘোষণা করা হবে। এই বছরের শুরুতে,আগের কমিটির চেয়ারম্যান প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার আশিস কাপুর কার্যকালের মেয়াদও শেষ করেছেন।
আগের কমিটিতে ছিলেন: আশিস কাপুর, দেবাশিস মহান্তি, জ্ঞানেন্দ্র পান্ডে, রাকেশ পারেখ এবং অমিত শর্মা।