শিক্ষকের অভাবে বন্ধের মুখে স্কুল। দিনে দিনে বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। রাজ্যে কতগুলি বিদ্যালয় আছে, ওই বিদ্যালয় গুলিতে কত সংখ্যক ছাত্র আছে ? ছাত্র-ছাত্রীদের সমানুপাতিক কতজন শিক্ষক রয়েছে ? সব স্কুলে সমানুপাতিক হারে শিক্ষক এবং ছাত্র আছে কিনা, এই সব সামগ্রিক রিপোর্ট হলফনামা আকারে রাজ্য সরকারকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে জমা করতে হবে। এমনই নির্দেশ দিল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ। একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই রায় দেয়।
আরও পড়ুন : শিশু পাচারের চেষ্টার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
আবেদনকারীর আইনজীবী শুভ্র প্রকাশ লাহিড়ীর দাবি, বাঁকুড়ার ওন্দা অঞ্চলে আসানাসোল এলাকায় আসানসোল জুনিয়র হাইস্কুল, নিউ সেট আপ স্কুল এবং আসানাসোল উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। আইনজীবী লাহিড়ীর দাবি, আসানসোল উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে শিক্ষক সংখ্যা বেশি হওয়া সত্ত্বেও ওই বিদ্যালয় থেকে শিক্ষকদের অন্যত্র স্থানান্তর করা হচ্ছে না। অপরদিকে বাকি দুটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা কম থাকায় সেখানকার শিক্ষার পরিকাঠামো সঠিকভাবে চলছে না। ফলে ওই দুটি বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা ক্রমশ কমছে।
আরও পড়ুন : স্কুল বন্ধ, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার নতুন ঠিকানা সন্দীপের ‘কালভার্ট স্কুল’
নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ৪০ জন ছাত্র পিছু ১জন করে শিক্ষক থাকার প্রয়োজন। এছাড়াও আইনজীবী লাহিড়ী দাবি করেন, নিয়ম অনুযায়ী বাড়ির সংলগ্ন বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীরা পড়তে যাবে। কিন্তু ওই ২টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংখ্যা কম হওয়ায় সেখানকার পড়াশোনার পরিকাঠামো সঠিক নয়। তাই ওই বিদ্যালয় ২টিতে ক্রমশ ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কমছে। বিদ্যালয় দুটি প্রায় বন্ধের মুখে। আসানসোলের এই ৩টি বিদ্যালয় সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বিদ্যালয়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও বিষয়টির জন্য সময় চাওয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, রাজ্যে কতগুলি বিদ্যালয় আছে এবং তাতে ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষকের সংখ্যা কত এবং শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা সমানুপাতিক কিনা এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে নির্দিষ্ট তথ্য থাকা উচিৎ। এই বিষয়টির কথা মাথায় রেখেই তিনি ওই নির্দেশিকা জারি করেন।