ওয়েবডেস্ক- বিহার (Bihar) নির্বাচনের (Election) শুরুর দিন থেকে চর্চায় ছিল এসআইআর (SIR)। তবে SIR বা ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনী নিয়ে প্রথম থেকে খড়গহস্ত মূর্তি নিয়েছে বিরোধী দলগুলি। বিহারে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’র আওয়াজ তুলে পথে নামেন রাহুল গান্ধী ও তেজস্বী যাদব। নির্বাচন কমিশন (Election Commission) বিরোধীদের সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে জানিয়ে দেয়, সুষ্ঠু ভোট করাতেই এই এসআইআর। বিহারের পরে রাজ্যের অন্যান্য ভোটমুখী রাজ্যবগুলিতে এসআইআর-হবে বলে জানায় নির্বাচন কমিশন। সেইমতো সোমবার অন্যান্য রাজ্যগুলির সেই এসআইআর -এর নির্ঘন্ট ঘোষণা করল কমিশন।
সোমবারের বৈঠক থেকে প্রথমেই বিরোধীদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে কমিশনের ঘোষণা বিহারে সফল এসআইআর। ভোটারদের কোনও অভিযোগ নেই।
সেইসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Chief Election Commissioner Gyanesh Kumar) জানিয়ে দেন, ২০০২ ভোটার তালিকায় নাম থাকলে দিতে হবে না নথি। বাবা-মায়ের নাম থাকলেও দিতে হবে না নথি। যে রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে, আজ ১২ টায় ভোটার তালিকা ফ্রিজ হবে। রাত ১২টার পর নথিভুক্তকরণে কাজ শুরু। কোনও বুথে ১২০০-র বেশি ভোটার থাকবে না। অভিযোগ থাকলে দুবার আবেদন করা যাবে। এসআইআর- এর লক্ষ্য যোগ্য ভোটারদের নাম নথিভুক্ত করা। ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে জেলাশাসকের কাছে আবেদন করা যাবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছেও আবেদন করতে পারবে।
জ্ঞানেশ কুমার জানান, ২০০২ সালে শেষ বার হয়েছিল এসআইআর। ২৩ বছর বাদে ফের এসআইআর হতে চলেছে। দ্বিতীয় দফায় ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর। সংবিধান অনুসারে ভোটার হতে গেলে ভারতের নাগরিক হতে হয়।
আরও পড়ুন- SIR নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকে বড় ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের
ইতিমধ্যেই কমিশনের তরফে ওয়েবসাইটে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সময়ে বিধানসভা অঞ্চল অনুযায়ী তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সঙ্গে মিলিয়ে বাড়ি থেকেই ভোটাররা নিজেদের নাম তালিকায় রয়েছে কিনা দেখে নিতে পারবে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আরও জানিয়েছেন, এসআইআর-ঝাড়াই বাছাই পর্বের পর ২০২৬ সালের ভোটের জন্য নয়া তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। কোনও ভোটার এসআইআর-এ অংশ না নিলে তাদের নাম থাকবে না নতুন তালিকায়।
SIR-এর মূল কাজ শেষ হওয়ার এক মাস পর খসড়া তালিকা প্রকাশিত হবে। কোনও ভুল বা অভিযোগ থাকলে খসড়া খতিয়ে দেখবে কমিশন। বিহারে ক্ষেত্রে যেভাবে কাজ হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গেও একই নিয়ম বজায় থাকবে।
২০০২ সালে এ রাজ্যে ভোটার ছিল ৪.৫৮ কোটি। এখন ভোটার সংখ্যা ৭.৬৫ কোটি। এই তালিকার উপর ভিত্তি করেই এসআইআর হবে। ২০০২ ও ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখা হবে। যে সমস্ত ভোটারের নাম দুটি তালিকাতেই রয়েছে, তারা ম্যাপিংয়ের আওতায় আসবেন। এদের পরিবারে সদস্যরা যে ভারতীয় নাগরিক সেই বিষয়ে নিশ্চিত কমিশন। তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য কোনও নথি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
দেখুন আরও খবর-