সন্দেশখালি: শুক্রবার সকালে সন্দেশখালিতে পৌঁছেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (National Human Rights Commission) প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও তিনজন পুরুষ। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সফরের মধ্যেই উত্তেজনা ছড়াল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident)। শাহজাহান শেখের অনুগামীর মাছের ভেড়ির আলাঘর পুড়িয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা। পাশাপাশি এদিন সন্দেশখালি যাওয়ার পথে এবার বাধা পেলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। সন্দেশখালির আগে ভোজেরহাটেই (Bhojerhat) আটকানো হল লকেটকে। সন্দেশখালিতে যখন ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, তাহলে কেন ভোজেরহাটে আটকানো হল। কেন একজন প্রতিনিধিকে আটকানো হল, সেই প্রশ্ন তোলে বিজেপি সাংসদ। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান লকেট। পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ানোর পরই সন্দেশখালির যাওয়ার আগেই গ্রেফতার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায় (Locket Chatterjee)।
আরও পড়ুন: সিগন্যাল সমস্যা, শিয়ালদহ মেন শাখায় ব্যাহত ট্রেন চলাচল
সন্দেশখালিতে পৌঁছে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। থানায় গিয়ে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। গোটা অলাকা ঘরে দেখেন তারা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-৮)
শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির জেলিয়াখালির আদিবাসী মহিলারা ঝাঁটা, লাঠি, বাঁশ হাতে হাজার হাজার গ্রামের মহিলারা পথে নেমেছিলেন। থানা ঘেরাও করেছিলেন। সেই প্রতিবাদ এখনও অব্যাহত। বুধবার থেকে সন্দেশখালিতে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। টোটোয় চেপে গোটা এলাকায় কার্যত টহল দেন তিনি। অফিসারদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন তিনি। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের (DG Rajeev Kumar) তৎপরতায় শাহজাহানের দখলমুক্ত সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) অনেক জমিই। বৃহস্পতিবার শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজুদ্দিনের মাছের ভেড়ির আলাঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল গ্রামবাসীরা। শুক্রবারও সেই ঘটনার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। শুক্রবার সকালেই বেড়মজুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় মহিলারা।
এদিন সন্দেশখালি বেরমজুর দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছারি বাড়ি এলাকায় আলাঘরে ভাঙচুর চালায় আগুন ধরিয়ে দেয় স্থানীয়রা। তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি ও তোয়াব মোল্লার ভেড়ির আলাঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।এই পরিস্থিতিতে ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা করেছে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ।
অন্য খবর দেখুন