প্রাণের থেকেও প্রিয় লম্বা চুল। তাই চুল কাটতে গেলে প্রাণ কাঁদে সীমার। অথচ এবার সেই চুল ১৪ ইঞ্চি কেটে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের দান করলেন বছর ২৯ এর সীমা সাহা। চুল যে বড় প্রিয়। ছোট থেকেই চুল কাটতে গেলে খুব কষ্ট হত সীমার।উত্তর কলকাতার বাগবাজারের বাসিন্দা সীমা পেশায় একজন সংবাদকর্মী। ছোট থেকে মায়েরও ইচ্ছা ছিল মেয়ের চুল হবে সব থেকে লম্বা। পিঠ ছাড়িয়ে কোমর, কোমর ছাড়িয়ে হাঁটু, হাঁটু পেরিয়ে যেতে থাকে সীমার চুল। তাও সে কাটেনা। কষ্ট হলেও সেই চুল যত্ন করে রাখে সিমা।
আরও পড়ুন এসএমএসের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনের সুযোগ, ই-রুপি-র সূচনা মোদির
সম্প্রতি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর।ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের সমস্যা চুল ঝরে যায়। ওষুধ চলতে থাকায় চুল পড়ে যায় এবং কেমো নিতে গেলেও চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যা থাকে ক্যান্সার আক্রান্তদের। তাদের জন্য কেউ যদি চুল দান করে তাহলে উপকার হয় এই সমস্ত শিশুদের। কিন্তু ঘন চুলই নারীর কাছে অমুল্য সম্পদ। তাই সেই চুল দান করতে চান না অনেকেই । এবার নিজের চুল কেটে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের দান করল সীমা।এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দিল চোদ্দ ইঞ্চি লম্বা চুলের গোছা।
আরও পড়ুন বিষমদ কাণ্ডে খোঁড়া বাদশার আমৃত্যু কারাদণ্ড
সীমার দাবি, তার এই চুল দিয়ে যদি কোনও বাচ্চার উপকার হয় তাহলে সে সেটাই করবে। এর আগে এক ইঞ্চি কিংবা দুই ইঞ্চি চুল কাটলেও এই প্রথম এত বছর পর একসঙ্গে ১৪ ইঞ্চি লম্বা চুল কেটেছে সে। তাতে তাঁর সৌন্দর্যের খামতি হলেও শিশুদের উপকার হবে, এই ভেবে সীমা যথেষ্ট আনন্দ পেয়েছেন। তাঁর এই উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানায় কলকাতা টিভি।
আরও পড়ুন কেন খাবেন টক দই?