ওয়েবডেস্ক- কোনও উন্মাদের (Madmen) সাজা হতে পারে না। কারণ সে আপন মৌলিক অধিকার (Fundamental Right) রক্ষায় অক্ষম। অভিমত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ।
মামলা যায় নিম্ন আদালত ও পরে হাইকোর্টে (High Court) । ‘ঘটনার সময় তার মানসিক সুস্থতা সন্দেহের ঊর্ধ্বে ছিল’, অভিমত সহ অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টের এমন অভিমত খারিজ করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের উপরোক্ত মন্তব্য। কোনও ফৌজদারি অপরাধের দায় উন্মাদকে নিতে বাধ্য করা যায় না। কারণ সে অভিযোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করায় অক্ষম। যে অধিকার সংবিধান অনুযায়ী তার আছে। অভিমত বিচারপতি অভয় এস ওকা ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার।
২০১৮ সালের একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন, তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং অপরাধমূলক ক্ষমতা প্রয়োগের অভিযোগ। ক্ষতিগ্রস্ত অসম গোটা ও পুলিশের সাক্ষী ফাগুরাম কারাঙ্গা কৃষি খেতে ঘাস কাটছিল।
আরও পড়ুন- রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
অভিযুক্ত সেখানে একটি লোহার পাইপ হাতে নিয়ে আসে ও অসমের মাথায় মারে। সাক্ষী পালায়। কিন্তু অভিযুক্ত তাকে তাড়া করে। এই প্রেক্ষাপটে নিম্ন আদালতে ঘোষিত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা বহাল থাকে হাইকোর্টে।
হাইকোর্টে তাকে উন্মাদ বলে সওয়াল করা হলেও ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশে তার মেডিকেল পরীক্ষা হয়। যেখানে বলা হয়, অভিযুক্ত মানসিকভাবে স্বাভাবিক। কিন্তু, নিম্ন আদালতে পুলিশের সাক্ষীরাই জানিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্ত মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। নথি পেশ করে জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টকে। সেই সূত্রে আসামি দশরথ পাত্রের অভিযোগ মুক্তি।
দেখুন আরও খবর-