ওয়েবডেস্ক: ভারতে তিনটি বড় জঙ্গি হামলার (Attack) পিছনে থাকা লস্কর জঙ্গি খতম পাকিস্তানে। লস্কর (Lashkar-e-taiba) জঙ্গি সইফুল্লা খালিদ (Saifullah Khalid) নাগপুর, রামপুর ও বেঙ্গালুরুতে হামলার ব্রেইন। নেপালে নাম ভাঁড়িয়ে আত্মগোপনে ছিল। তারপরে সেখান থেকে পাকিস্তানের (Pakistan) সিন্ধ প্রদেশে বসবাস করছিল। সেখানেই তাকে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি গুলি করে হত্যা করে। ২০০১ সালের রামপুর, ২০০৫ সালের বেঙ্গালুরু, ২০০৬ সালের নাগপুর হামলায় জড়িত ছিল।
এই লস্কর জঙ্গি রামপুরে ২০০১ সালে সিআরপিএফ ক্যাম্প হামলায় মূল ষড়যন্ত্রী ছিল। ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসে হামলা তারই মস্তিষ্কপ্রসূত। ২০০৬ সালে নাগপুরে আরএসএসের সদর দপ্তরে হামলাতেও জড়িত ছিল এই জঙ্গি। ওই হামলাগুলিতে একাধিক প্রাণহানি হয়। নেপালে বিনোদ কুমার পরিচয়ে সে থাকত। নাগমা বানু নামে এক স্থানীয় মহিলাকে বিয়ে করেছিল। নেপালেও লস্করের কাজের তদারকি করত। সম্প্রতি সিন্ধ প্রদেশের বাদিন জেলার মাটলিতে থাকতে শুরু করে সে। সেখান থেকেই লস্কর-ই-তইবা ও জামাত-উদ-দাওয়ার হয়ে কাজ করছিল। জঙ্গিদের নিয়োগ ও অর্থ সংগ্রেহর দায়িত্ব ছিল ওর উপর।
আরও পড়ুন: শতাব্দীতে প্রথম, আমেরিকার ক্রেডিট রেটিং কমিয়ে দিল মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ
বালোচিস্তানকে স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন ক্রমশ জোরদার হচ্ছে পাকিস্তানে। বালোচ বিদ্রোহীরা একাধিক শহর দখল করে নিয়েছে। পিছু হটেছে পাক সেনা। পাকিস্তানের মাটিতে একাধিক জঙ্গি নেতার আকস্মিক মৃত্যুর খবরও সামনে আসছে। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে পাকিস্তানের মদতে জঙ্গি হামলা হয়। তাতে ২৬ জন পর্যটক প্রাণ হারান। এরপর অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে পাকিস্তানে থাকা লস্কর-ই-তইবার ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত।
দেখুন অন্য খবর: