রাঁচি: বাড়ির সামনে পাকা রাস্তা নেই৷ তাই সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়া ১১ বছরের কোমলিকে সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেননি পরিজনেরা৷ কার্যত বিনা চিকিৎসায় বাড়িতেই মৃত্যু হয় উঠতি এক প্রতিভাবান হকি খেলোয়াড়ের৷ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের সিমদেগা জেলায়৷
আরও পড়ুন: দেড় বছর পর স্কুল খুলছে পঞ্জাবে
ছোটো থেকে হকি খেলতে ভালোবাসত কোমলি বেসরা৷ বাড়ির কাছেই লাম্বই হকি ডে বোর্ডিং স্কুল থেকে হকির প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল৷ কিন্তু করোনার কারণে বন্ধ ছিল সেন্টার৷ তাই বাড়িতে ছিল কোমলি৷ তার উপর গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হয়েই চলেছে ঝাড়খণ্ডে৷ প্রবল বর্ষণে জল দাঁড়িয়ে যায় গ্রামের রাস্তায়৷ ঘরবন্দি হয়ে পড়েন গ্রামের বাসিন্দারা৷
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর মেঝেয় ঘুমিয়ে পড়েছিল কোমলি৷ তখনই একটি বিষাক্ত সাপ তার পায়ে ছোবল মারে৷ বিষয়টি বাড়ির লোকের নজরে এলে তারা কোমলিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করেন৷ কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া আরও কষ্টসাধ্য ব্যাপার৷ বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার অবধি তো কোনও রাস্তা নেই৷ সেই কারণে ১১ বছরের মেয়েটিকে সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেনি তার বাড়ির লোকেরা৷ শুক্রবার ভোর ৪টে নাগাদ মৃত্যু হয় উঠতি হকি খেলোয়াড়ের৷
আরও পড়ুন: এনকাউন্টারে খতম মাসুদ আজহারের পরিবারের সদস্য জঙ্গিনেতা
মৃত্যুর খবর পেয়ে পরে কোমলির গ্রামের বাড়ি যান তার কোচ আশা এবং গ্রামের প্রধান শিশির ডাঙ্ক৷ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন তাঁরা৷ এদিকে ময়না তদন্তের জন্যও গ্রামের ভেতর কোনও গাড়ি পাওয়া যায়নি৷ তাই কোমলির মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে এক কিলোমিটার বেশি কাঁচা রাস্তা পেরিয়ে মেন রোডে গিয়ে পৌঁছয় বাড়ির লোকেরা৷ তার পর সেখান থেকে তাঁরা হাসপাতালে যান৷ ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ পরিজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ শুক্রবারই শেষ হয় অন্তোষ্টি৷