শ্রীনগর: ফের নিয়মিত উত্তপ্ত হচ্ছে কাশ্মীর। জওয়ানদের লক্ষ্য করে হামলা, সেই সঙ্গে পালটা এনকাউণ্টার আবার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে গিয়েছে ভূ-স্বর্গের। সেই পথেই শনিবার সাত সকালে প্রাণ গিয়েছে কুখ্যাত পাক-জঙ্গি লম্বুর। যে আবার মাসুদ আজহারের পরিবারের সদস্য। এই ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে পাঁচ বছর আগে কাশ্মীরের এনকাউন্টারে মৃত্যু হওয়া জঙ্গি বুরহান ওয়ানির।
আরও পড়ুন- ছাড়া হচ্ছে জল, বিপর্যস্ত দামোদর, কংসাবতী সংলগ্ন এলাকা
শুক্রবার কাশ্মীরে গ্রেনেড হামলায় জখম দুই জওয়ান-সহ তিনজন জখম হন। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা জবাব দিল বাহিনী। পুলওয়ামায় ডাচিগ্রাম জঙ্গলের নামিবিয়ান ও মারসারের মধ্যবর্তী এলাকায় এ দিন ভোরের দিকে অভিযান শুরু করে বাহিনী। কাশ্মীরের পুলিশ এবং নিরাপত্তারক্ষীদের যৌথ অভিযান শুরু হয় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। বাহিনীর গুলিতে খতম হল ২ জঙ্গি।
আরও পড়ুন- অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর মিজোরাম পুলিশের
সেই দুই জঙ্গির মধ্যে একজন হল লম্বু। এই পাক জঙ্গি জৈইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ওই জঙ্গিদলের শীর্ষস্তরের নেতা ছিল এই লম্বু। যার প্রকৃত নাম হচ্ছে মহম্মদ ইসমাইল আলভি। যে আদনান নামেও পরিচিত ছিল। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে যে এই লম্বু কুখ্যাত জঙ্গিনেতা মাসুদ আজহারের পরিবারের সদস্য ছিল। লেথপোড়া হামলা এবং সমগ্র ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও যুক্ত ছিল এই লম্বু।
নাশকতা এবং জঙ্গিমূলক ক্রিয়াকলাপের নানাবিধ প্রশিক্ষণ ছিল মহম্মদ ইসমাইল আলভির। এই জঙ্গির পিছনে অনেক দিন ধরেই পড়েছিল বাহিনী। সেই জঙ্গিই এদিনের এনকাউন্টারে প্রাণ হারিয়েছে তা শুরুতে বোঝেনি জওয়ানেরা। পরে মৃতদেহ দেখে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার। অপর জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
২০১৬ সালের এই জুলাই মাসেই এক এনকাউন্টারে প্রাণ গিয়েছিল বুরহান ওয়ানি নামক এক জঙ্গির। ওই ঘটনার পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর। দীর্ঘদিন ধরে চলে অচলাবস্থা। সেনা জওয়ানদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। পালটা জবাবে অনেকের মৃত্যু ঘটে। বহু মানুষ জখম হন। প্রায় চার হাজার জওয়ান জখম হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- লখনউ এলে ‘চামড়া গুটিয়ে’ দেওয়া হবে, যোগীরাজ্যে হুমকির মুখে আন্দোলনকারী কৃষকরা
সেই জঙ্গিবাদের মোকাবিলা করতেই ওই বছরের নভেম্বর মাসে নোট বাতিলের মত বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে আমনই জানান প্রধানমন্ত্রী। যা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। পাঁচ বছর পর ফের সেই জুলাই মাসেই কাশ্মীরে এনকাউন্টারে প্রাণ গেল জঙ্গিদল জৈশের শীর্ষনেতার। যা ফিরিয়ে আনছে সেই ২০১৬ সালের স্মৃতি।