মুকেশ আম্বানি এই ভারতেই দেদার ব্যবসা করেন, উনি চাইলে সরকার মাথায় করে ওনার যেমন পছন্দ তেমন জমি ওনার শর্তে ওনাকে দিতে প্রস্তুত, হুজুর ঘাড় নাড়িয়া দেখাইলেই হইবে, উপর বা নীচ যে কোনও ছিদ্র হইতে যে কোনও শব্দ বার করিলেই হইবে, কেবল বলিলেই হইবে যে আমি শিল্পস্থাপন করতে চাই। এ নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ থাকলে নিউরো সার্জন দেখান বা গোবরা মেন্টাল হাসপালে গিয়ে ভর্তি হন। কিন্তু সেই মুকেশ আম্বানি ১০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে চলে গেলেন সিঙ্গাপুরে, সেখানে এক নতুন অফিস খুললেন, এক নতুন কোম্পানি, এবং সেখানে ওই টাকাটা ইনভেস্ট করলেন, যে কোনও সময়ে সিঙ্গাপুরে ব্যবসায় লাভের হার আমাদের চেয়ে কম, নিয়মকানুনের কড়াকড়ি অনেক অনেক বেশি। কিন্তু মুকেশবাবু ওই সিঙ্গাপুরই বেছে নিলেন কেন? এই প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করছে তো? দাঁড়ান, দাঁড়ান, উনি তো ওনার সাম্রাজ্যের অতি সামান্য এক অংশ সিঙ্গাপুরে ঢালছেন, আমার দেশের অনেক অনেক ধনী ব্যবসায়ী সর্বস্ব নিয়েই দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। ২০২৪ সালের প্রাথমিক হিসেবে ৪,৩০০ জন মিলিয়নেয়ার দেশ ছাড়ছেন, কিছু অনুমানে এই সংখ্যা ৮,০০০ পর্যন্ত হতে পারে। এর মানে, প্রায় পাঁচজনের মধ্যে একজন সুপার রিচ ভারতীয় দেশ ছাড়তে চান। কেন?
মোদিজি বললেন অচ্ছে দিন আয়েঙ্গে, বললেন দেশের পয়সা বিদেশ থেকে দেশে ফিরবে, সেসব তো হলই না বরং আইনিভাবেই ব্যবসায়ীরা দেহ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন? কেন? এই দেশত্যাগের পিছনে বেশ কিছু কারণ আছে, ট্যাক্স নিয়ে অসন্তোষ হল প্রথম কথা। রেডিটের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অনেকে বলছেন, হাই ইনকাম গ্রুপকে আয়ের উপর বেশি ট্যাক্স আর সারচার্জ দিতে হয়। এবং তার সঙ্গে যে কথা যোগ হচ্ছে তা হল, ট্যাক্সের থেকেও বেশি দিতে রাজি আছি কিন্তু এত ট্যাক্স দেওয়ার পরও পাবলিক সার্ভিস বা পরিকাঠামোর কোনও ব্যবস্থা নেই, ট্যাক্স দিলাম কিন্তু তার ভালো রিটার্ন পাওয়া যায় না। একজন বলেছেন, “৬-৭ লাখ ট্যাক্স দিয়েও কিছু পাওয়া যায় না, না পরিষ্কার পানীয় জল না ছেলেমেয়েদের শিক্ষার ব্যবস্থা তারচেয়ে এমন জায়গায় যাব যেখানে এর মূল্য আছে। এবং সেখানেই উঠে আসছে জীবনযাত্রার মানের কথা। দূষণ, আইনশৃঙ্খলার অভাব আর অপর্যাপ্ত পরিকাঠামো নিয়ে অজস্র অভিযোগ। চেন্নাইয়ের এক ব্যবসায়ী সমাজমাধ্যমে আমাদের দেশের সঙ্গে ইউরোপের তুলনা করে বলেছেন, ১) দূষণ, ২)ড্রাইভিংয়ের মান, আর ৩) প্রকৃতির সান্নিধ্যের অভাব মানে এক দূষণমূক্ত সবুজ পরিবেশ পেতেই মানুষ ছুটছে বিদেশে, যারা পারছে তারা বেরিয়ে যাচ্ছে, আর ফিরছে না। মোদিজি বিদেশে গেলে মোদি মোদি বলে যে ইন্ডিয়ান ডায়াস্ফোরা চ্যাঁচাচ্ছে, তারাই এরা, যদি কিছু সুযোগ সুবিধে বেশি পাওয়া যায় তার ধান্ধায় এনারা যোগাযোগ রাখছেন, বেশি সুযোগ নিয়ে কিছু বিনিয়োগ করছেন বটে, কিন্তু ফিরে আসছেন না।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | জাতিগত জনগণনা এবং মোদিজির বাওয়াল
আর এক বড় সমস্যা হল দুর্নীতির অভিযোগ আর ধারণা। সরকারি প্রকল্পে তো খুল্লমখুল্লা কাটমানি,আর ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। একজন বলেছেন, ১০০ কোটির রাস্তার প্রকল্পে রাজনীতিবিদ আর সরকারি কর্মকর্তারা ৫০ কোটি খেয়ে নেয়, বাকি টাকায় রাস্তা বানায়। তারপরে সেই রাস্তায় কিছু হলে যিনি সেই রাস্তায় কনট্রাক্ট পেয়েছিলেন তাকে জেলে ঢোকানো হয়, সেখানেও আবার টাকা খাইয়ে বের হতে হয়, এরকম ব্যবসা করার থেকে না করা ভালো। দুর্নীতির পরের বিষয় শিক্ষা। যাদের সন্তান আছে বা সন্তানের পরিকল্পনা আছে, তারা স্কুলে ভর্তির তীব্র প্রতিযোগিতা আর পশ্চিমের দেশগুলোর তুলনায় শিক্ষার মান নিয়ে চিন্তিত। তারপরে স্কুলে গায়ত্রী মন্ত্র, কলেজে জ্যোতিষ পড়ানো হচ্ছে, বিক্রি হচ্ছে প্রশ্নপত্র আর বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় তো নেইই, কাজেই সন্তানের মুখ চেয়ে তাঁরা চলে যাচ্ছেন সেই দেশে যেখানে এ নিয়ে সমস্যা নেই। সেই দেশের তালিকা বিরাট। এবং নিশ্চয়ই করে তাঁদের মাথায় থাকছে ভালো সুযোগ আর অভিজ্ঞতা। কেরিয়ারে উন্নতি, পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ও ধারণার সংস্পর্শ, তাছাড়া বিদেশে সামাজিক স্বাধীনতার সুযোগ খুঁজছেন অনেকে। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়াতে নিরীহ পোস্ট দিয়ে জেল জরিমানার চেয়ে বিদেশে থাকা ভালো, অনেকেই সেটা মনে করছেন। অনেকে আবার শাসনব্যবস্থা, পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতি, আর কচ্ছপ গতির আইনি ব্যবস্থার কারণে ‘বাসের অযোগ্য পরিবেশ’ তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন, রাষ্ট্রের সঙ্গে, কোনও কোম্পানির সঙ্গে, সরকারি দফতরের সঙ্গে আইনি জটিলতা খুলতে ৩/৪/৫ বছর লেগে যাওয়া তো কিছুই নয়, আর তার ফলে এক বিরাট হতাশা যাঁদের গ্রাস করছে তাঁরা ভাবছেন এর চেয়ে পালিয়ে বাঁচা যাক, যঃ পলায়তি স জীবতি।
আর এসবে ধুঁয়ো দিতে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন পরিকল্পনা সামনে রাখছে, এই তো সেদিন ট্রাম্প সাহেবও ঘোষণা করেছেন, একটা ভালো রকম টাকা দিন, নাগরিকত্ব নিন, ব্যবসা করুন ট্যাক্সও দিতে হবে না। বহু দেশ এরকম স্কিমের ঘোষণা করেছেন কাজেই অনেক ধনী ভারতীয় বিভিন্ন দেশের ‘বিনিয়োগ করে দেশত্যাগ’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিদেশে বসবাসের অধিকার ও নাগরিকত্ব নিচ্ছেন। আর সেসব জনপ্রিয় গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া। ইউরোপের দেশগুলো যেমন ইতালি, সুইজারল্যান্ড, গ্রিস, পর্তুগালও মিলিয়নেয়ারদের আকর্ষণ করছে। ইউরোপের দেশগুলোর তুলনায় স্পেন-পর্তুগাল কিছুটা কম উন্নত, কিন্তু নামের পাশে ইউরোপ আছে, তাই বা কম কী? আসলে এই দশ বছরে মোদিজির সেই আচ্ছে দিন আসেনি, যে আচ্ছে দিনের কথা সাধারণ মানুষ ভেবেছিলেন, মধ্যবিত্তরা চেয়েছিলেন আর সমর্থন করেছিলেন ব্যবসায়ী শিল্পপতিরা। ভারতের পুঁজিবাদ ক্রমশ এক ক্রোনি ক্যাপিটালিস্টদের ‘দালাল পুঁজিপতিদের’ দেশ হিসেবেই চিহ্নিত হয়েছে, যে ফড়ে পুঁজিপতিরা গবেষণা ও উন্নয়ন ইত্যাদির ধার ধারে না, তার বদলে সরকারের সঙ্গে এক ধরনের দেওয়া নেওয়ার সম্পর্কের মাধ্যমেই কীভাবে পুঁজিকে বাড়ানো যায়, সম্পদ অর্জন করা যায়, লাভের পরিমাণ হু হু করে বাড়ে সেটার উপরেই জোর দেয়। এর ফলে দেশীয়ভাবে তৈরি, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত কোনও পণ্য আমাদের নেই। একটা পণ্যের নাম বলুন যা সারা পৃথিবীতে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় ব্র্যান্ডেড পণ্য হিসেবে। একটারও নাম বলতে পারবেন না। আমাদের পুঁজিবাদ শুরু থেকেই দালাল পুঁজিপতি, তারা চোর। তারা নিজেরা কখনও গবেষণা করেনি, আজ পর্যন্ত একটি পণ্যও তৈরি করতে পারেনি।
আমাদের চৌকিদার, আমাদের সরকার প্রায়ই বলে আমাদের বিলিয়নেয়াররা ফোর্বসে এক নম্বর, কিন্তু তাদের তৈরি একটি কলমও আমাদের সামনে প্রোডাক্ট হিসেবে নেই। কারণ তারা গবেষণাভিত্তিক নয়, তারা সরকারের সঙ্গে মিলে জনগণের পকেট কাটে। আছে শিল্প উৎপাদনের স্থবিরতা আর এক স্ট্যাগফ্লেশন, এক ধরনের অর্থনৈতিক মন্দা। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র বাওয়াল তো চলছে কিন্তু শিল্প উৎপাদন ক্ষেত্র ‘সম্পূর্ণ স্থবির’। অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে না, যা বাড়ছে তা মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল রাখতে পারছে না। এফএমসিজি, স্কুটার, ট্রাক্টর, গাড়ির বিক্রি কমছে এবং অবিক্রিত পণ্যের পরিমাণ হু হু করে বাড়ছে, এটাই সেই স্ট্যাগফ্লেশন। মেক ইন ইন্ডিয়ার স্লোগান আমাদের প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, সেই স্লোগানেই শেষ, আজ শিল্প উৎপাদনে আমরা কোথায়? আমরা সম্পূর্ণ স্থবির, উঠে আসতে পারছি না। সত্যিটা হল আমরা নীচে নেমে গেছি। আয়ের স্থবিরতা ও মূদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি, আয় বাড়ছে না অন্যদিকে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, আরবিআই-এর ২০২১ সালের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ৭০ শতাংশের জনগণের আয় গত ৫-৬ বছরে বাড়েনি, অথচ মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ফলে প্রকৃত আয় কমেছে এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে দেখুন এ নিয়ে কেউ কথা বলছে না, কেউ আলোচনা করছে না। মানে গণমাধ্যমের এক ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তা ও সাংবাদিক, পণ্ডিত, জ্ঞানী মানুষজনদের সমালোচনার অভাব। ভারতীয় গণমাধ্যম অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ করতে ব্যর্থ শুধু নয়, তারা তা করছেই না, হেঁ হেঁ বাবুর দল হয়ে বসে আছে। তারা সরকারের মাউথপিস হয়ে বসে আছে, সরকারের প্রচারের উপর মিডিয়ার যাবতীয় ফোকাস। এ এক ধরনের নিজে থেকেই ঘাড় নোয়ানোর প্রক্রিয়া, সরকার দেখছে বলার আগেই কুত্তা ঘাড় নোয়াচ্ছে, কাজেই তাদের চোখ আরও লাল হচ্ছে, মানে মানো, পুরোটা মানো। এই সেন্সরশিপ বা বলা ভালো স্ব-সেন্সরশিপ জনগণকে অর্থনীতি ও সমাজের প্রকৃত অবস্থা বুঝতে দিচ্ছে না, মানুষের কাছে খবর পৌঁছচ্ছে না।
আমাদের এখানকার মিডিয়া এখন সামাজিক বিষয়ে সাংবাদিকতা করে না। আগেও কম করত, কিন্তু একটা অংশ করত। এখন খুব কম অংশ বাকি আছে। বেশিরভাগই হিজ মাস্টার্স ভয়েজ হয়ে বসে আছে। এর উপরে আছে করের বোঝা ও আর এক বিরাট আর্থিক চাপ। সরকার প্রায় দেশের প্রত্যেকটা মানুষকে বিভিন্ন রকমের করের আওতায় এনে আর্থিক চাপ বাড়িয়েছে, যখন আয় বাড়ছে না, স্থবির রয়েছে। এই সরকারের একমাত্র সাফল্য হল তারা আমাদের প্রত্যেককে করের আওতায় এনে তাদের চামড়া ছাড়িয়ে নুন মাখিয়ে দিয়েছে। এবং তারপরে সেই অর্থনৈতিক কষ্টের কারণে সমাজে ভয় আর বিভাজন বাড়ছে। মানুষ জাতি, অঞ্চল, ধর্মের সংকীর্ণ পরিচয়ে আবদ্ধ হচ্ছে। অর্থের অভাবে সঠিক স্বাস্থ্যসেবার পরিবর্তে কুসংস্কার ও অবৈজ্ঞানিক সমাধানের উপর নির্ভর করছে। এটা তো আমরা জানিই যে অর্থনৈতিক কষ্ট হলে সমাজে ভয় ছড়ায়। এই ভয়ে মানুষ সংকীর্ণ হয়ে যায়, জাতি, অঞ্চল, ধর্মে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। তাকিয়ে দেখুন না, মনরেগা, এমজিএনআরইজিএ-এর মতো কর্মসূচির গুরুত্ব বাড়ছে, প্রত্যেক রাজ্যে এই টাকা পাওয়ার দাবি শোনা যাচ্ছে, কেন? কারণ ওই সামান্য টাকাটুকুও না পেলে মানুষ না খেতে পেয়ে মরবে। এরকম সামাজিক প্রকল্পগুলো না থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হত। ইন ফ্যাক্ট এই এমজিএনআরইজিএ না থাকত, তাহলে এই বাজারের কী অবস্থা হতো? আমরা সত্যিই পাকিস্তান হয়ে যেতাম, আমাদের গরিব মানুষগুলোর হাল সেদেশের মানুষের মতো হত। এই সরকারের আর একদিক হল তথ্য লুকোনো বা তথ্য জোগাড়েই তাদের অনীহা, না আছে সেন্সাস, না আছে বেকারত্বের হিসেব। আবার পৃথিবীর বিভিন্ন সংস্থা যে স্টাডিগুলো করে, সেগুলো এনাদের কাছে ষড়যন্ত্র বলে মনে হয়। বেশিরভাগ সূচক বা ইন্ডেক্স-এর খবর আমরা বিদেশি সংস্থা থেকে পাই। মানে ধরুন হাঙ্গার ইন্ডেক্স, ফ্রিডম ইনডেক্স, এসবের কথা বললেই আপনি দেশদ্রোহী, সরকার এটাকে ষড়যন্ত্র বলে মনে করে। আছে শিক্ষার দুরবস্থা ও বেকারত্ব। জনসংখ্যার একটি বড় অংশ হয় নিরক্ষর, নয়তো শুধুমাত্র প্রাথমিক সাক্ষরতা রয়েছে, কিন্তু শ্রমিক কাজ ছাড়া অন্য কাজের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা নেই। এটা অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি তো করেই, তার উপরে একটি বড় ‘দাস শ্রেণি’ স্লেভারি তৈরি করে। সাধারণ শ্রমের জোগান বিরাট, সেটাকেই শিল্পপতিরা ব্যবহার করে, সবথেকে কম মজুরিতে সবথেকে বেশি কাজ করিয়ে নেয়। খোলা চোখেই বোঝা যায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিবেশে সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যক্তি সম্পদ সংগ্রহ করে লাভবান হচ্ছে, আর সাধারণ জনগণ দারিদ্র্যের মধ্যে ক্রমশ ডুবে যাচ্ছে। ১০-২০ জন অলিগার্কের হাতে পুরো দেশ দিয়ে দিয়েছে সরকার, তারাই নাকি পুঁজি তৈরি করবে। তারা আসলে চোর, সরকারের সঙ্গে মিলে জনগণের পকেট কাটে এবং নিজেদের পক্ষে আইন কানুন নিয়ম নীতি তৈরি করে। আমাদের দেশে এখন রাহুকাল চলছে, এখন সম্পদ লুণ্ঠনের সময়। এক অন্ধকার মধ্যযুগের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে, এত কম উচ্চাকাঙ্ক্ষার যুবক আমরা তৈরি করেছি, যাদের কোনও স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছে নেই, তাকিয়ে দেখুন তারা শুধু হিন্দু রাষ্ট্র চায়। যুবশক্তি যদি আকাঙ্ক্ষাহীন হয়, সমাজ কোথায় যাবে?