ওয়েবডেস্ক: কাশ্মীরের (Kashmir) জঙ্গিহানায় (militant attack) প্রাণ হারিয়েছেন বাংলার তিন পর্যটক। ভূস্বর্গ দেখার আনন্দ এই তিন পরিবারের সব কিছু শেষ করে দিয়েছে। এই দুঃসহ স্মৃতি সারাজীবন ক্ষতচিহ্নের দাগ রেখে দিয়ে গেল। বুধবার বেহালার (Behala) বাসিন্দা সমীর গুহর (Samir Guha) বাড়িতে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firahad Hakim)।
তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। শোকাহত এই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মন্ত্রী। ১২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেহালার জগত রায় চৌধুরীর রোডের বাসিন্দা ছিলেন সমীর গুহ। ৫২ বছরের সমীরবাবু কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী। স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে কাশ্মীরে ঘুরতে গেছিলেন।
আজ বুধবার বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাদের, কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল। নিহত সমীর গুহর স্ত্রী জানিয়েছেন, ঘটনার কিছু আগে পর্যন্ত তারা ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। এর পর চারদিক ঘুরতে ঘুরতে চেয়ারে বসেও পড়েন। কিন্তু যেন পরিবেশটা পালটে গেল, কি হল কিছুই বুঝতে পারছিলাম না, স্থানীয়রা তাদের শুয়ে পড়তে বলে। সমীরবাবুও তার মেয়ে ও স্ত্রীকে একই কথা বলছিলেন। কিন্তু তখনই সামনে এসে দাঁড়ায় জঙ্গিরা। বলে …ইনকো মাত ছোড় না। সমীর গুহকে লক্ষ্য করে গুলি করে জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন: পহেলগাঁও যন্ত্রণার মধ্যেই বারামুল্লায় খতম দুই জঙ্গি
সমীর বাবুর স্ত্রী শবরী গুহ জানিয়েছেন, স্বামীর দেহ রাখা আছে শ্রীনগরের মর্গে। বেহালার বাড়িতে ফেরার জন্য সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন শবরী।
অন্যদিকে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে এই বাংলার আরও দুই বাসিন্দার। একজন মণীশ রঞ্জন, তিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী ও সন্তানদের সামনেই জঙ্গিরা তাঁকে গুলি করে মারে। মণীশ পুরুলিয়ার বাসিন্দা। তবে তিনি বিগত দুই বছর ধরে হায়দরাবাদে থাকতেন। অপরদিকে কলকাতার বৈষ্ণবঘাটার বাসিন্দা তরুণ আইটি কর্মী বিতান অধিকারীর। স্ত্রী ও সাড়ে ৩ বছরের ছেলেকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন বিতান। কর্মসূত্রে ফ্রোরিডায় থাকতেন বিতান।
দেখুন অন্য খবর: