মেদিনীপুর: কলকারখানা খোলা, সরকারি চাকরিতে নিয়োগ সহ বেকারদের কাজের দাবিতে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) ইনসাফ যাত্রা শুরু হয়েছে কোচবিহার থেকে। মঙ্গলবার সেই ইনসাফ যাত্রা পৌঁছয় পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur)। ঝাড়গ্রাম থেকে সন্ধ্যা নাগাদ ধেড়ুয়া দিয়ে মেদিনীপুর শহরে পৌঁছলে শহরের পঞ্চুরচকে সভার আয়োজন করা হয়। আগামী ৭ জানুয়ারি ইনসাফ যাত্রা পৌঁছবে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে।
এদিন মেদিনীপুরে ‘ইনসাফ সভায়’ হাজির ছিলেন যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি তাঁর বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। প্রায় ১৭ মিনিটের বক্তব্যে আধা হিন্দি-বাংলায় রাজ্যকে একাধিক বিষয়ে কাঠগড়ায় তুলে ধরেছেন। চোরে-চোরে মাসতুতো ভাই বলে শুভেন্দু অধিকারী ও ববি হাকিমকে তুলোধোনা করেছেন মীনাক্ষী। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী যদি নারদা কেলেঙ্কারিতে জেলে যান, তবে ববি জেলে যাবেন। শুভেন্দুও জেলে যাবে না আর ববিও যাবে না। কারণ এরা চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। পাশাপাশি সরকারি চাকরির নিয়োগ দুর্নীতি সহ রেশনের চাল কেলেঙ্কারিতে জড়িত তৃণমূল নেতাদের আক্রমণ করলেন মিনাক্ষী। এদিনের সভায় দুর্নীতি নিয়েই সব থেকে বেশি সরব হয়েছেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী। তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতা ও এমএলএ-রা চোর। ওরা চুরি ছাড়া কাজ বোঝে না। সে এমএলএ হোক বা পাড়ার নেতা। শালবনিতে আমরা বড় শিল্প করতে চেয়েছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম কারখানাগুলোর চিমনি থেকে যেন ধোঁয়া বেরোয়। যাতে এই পশ্চিম মেদিনীপুরের ছাত্র-যুবরা এ জেলায় কাজ পায়। আর কেন্দ্রের মোদি সরকার চায় পশ্চিমবঙ্গের ছেলে-মেয়েরা যাতে বাইরের রাজ্যে কাজ করতে যায়। এখানে কাজ যেন না পাই। শিক্ষিতরা আজ রাজপথে। শিক্ষকদের গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হচ্ছে কলেজ থেকে। কোথাও কাজ নেই। কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর ইনসাফ চাইতে দুমাস ধরে পথে হাঁটব।
আরও পড়ুন: টিকিয়াপাড়ার কাছে ট্রেন লাইনচ্যুত
কাজ ও শিক্ষার অধিকার বুঝে নাও, দুর্নীতিবাজ, দাঙ্গাবাজ হঠাও, দেশ বাঁচাও, রাজ্য বাঁচাও এই স্লোগান সামনে রেখে গত ৩ নভেম্বর কোচবিহার থেকে কলকাতা ইনসাফ যাত্রা শুরু করেছে বামপন্থী যুব সংগঠন ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন ডিওয়াইএফআওই (DYFI)। মঙ্গলবার ৩৩ দিন অতিক্রান্ত করে সেই ইনসাফ যাত্রা প্রবেশ করল মেদিনীপুরে। রাজ্য জুড়ে ইনসাফ যাত্রার সমর্থনে এদিন সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুর চকে রবীন্দ্র মূর্তির পাদদেশে একটি ইনসাফ সভার আয়োজন করা হয়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিনাক্ষী বলেন, শালবনিতে তো শিল্পের গলা টিপে মেরে দিয়েছে।
আরও খবর দেখুন: