লিলুয়া: বেআইনি নির্মাণ নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তোপের মুখে পড়ল পুলিশ এবং নির্মাণকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, বেআইনি নির্মাণ হলে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলতে হবে। আমার বাড়ি যদি বেআইনি হয়, সেটিও ভেঙে দিন।তিনি প্রোমোটার পার্থ ঘোষকে বেলা সাড়ে তিনটের সময় আদালতে হাজির করানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, যেখান থেকে পারুন, তাঁকে ধরে নিয়ে আসুন। পুলিশ প্রোমোটারের দালাল হিসেবে কাজ করছে। ক্ষুব্ধ বিচারপতি আরও বলেন, নেতাজি ইনডোরে খোঁজ করুন। ওই প্রোমোটারকে পেয়ে যাবেন। প্রসঙ্গত, এদিনই নেতাজি ইনডোরে তৃণমূলের একটি সভা ছিল। একই সঙ্গে বিচারপতি সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারকে তলব করেন এদিন।
এদিন আদালতে মামলাকারী সন্ধ্যা ঘোষের বক্তব্য শোনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, গত বছর ৬ ডিসেম্বর ১৫ দিনের মধ্যে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখনও তা কার্যকর হয়নি। আদালত সূত্রের খবর, নির্মাণ ভাঙা সংক্রান্ত একটি চিঠিও পাঠায় বালি পুরসভা লিলুয়া থানার ওসি অংশুমান চক্রবর্তীকে। যার উত্তরে গত ৪ অক্টোবর চিঠি দিয়ে থানা জানায়, নির্মাণকাজ ভাঙার জন্য পর্যাপ্ত বাহিনী নেই।
আরও পড়ুন: প্রসঙ্গ ক্রিকেট, নাম না করে মোদিকে পাপিষ্ঠ বললেন মমতা
এদিন লিলুয়া থানার ওসি সঞ্জয় শ্রীবাস্তব আদালতে এসে জানান, যখন চিঠি লেখা হয়েছিল সেই সময় তিনি ছুটিতে ছিলেন। এরপর ক্ষুব্ধ বিচারপতি এই মামলায় বিচারপতি অংশুমান চক্রবর্তীকে যুক্ত করতে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি লিলুয়া থানার ওসি সঞ্জয় শ্রীবাস্তবকে আগামীকাল সকাল ১১ টা থেকে বেআইনি অংশ ভাঙার কাজ শুরু করতে বলেন। আদালতের নির্দেশ, আগামী ৬ দিনের মধ্যে ভাঙার কাজ শেষ করতে হবে।
এদিকে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের একটি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলারও নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। দানের জমি দেখিয়ে খড়দহে একটি ক্লাবঘর বেআইনি ভাবে তৈরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই জমি আদৌ দানের কি না তা দেখতে চেয়ে নথি চেয়ে পাঠালে খড়দহ পুরসভা দান সংক্রান্ত কোনও নথি দেখাতে পারেনি। পাল্টা মামলাকারীর বিরুদ্ধে একই জায়গায় রান্নাঘর বানাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ক্লাবের এক সদস্য। সেই সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার যত দ্রুত সম্ভব বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দিতে বলে আদালত।
দেখুন আরও খবর: