ওয়েব ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক (Jaffar Express Hijack) হওয়ার পর প্রায় একদিন কেটে গেলেও এখনও সব পণবন্দি যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বুধবার দুপুর অবধি প্রায় ১৫৫ জন পণবন্দিকে (Hostages) উদ্ধার করে পাক সেনা এবং আধা-সেনা। আর সশস্ত্র বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির (Balochistan Liberation Army) হাত থেকে ছাড়া পেয়েই ভয়ঙ্কর সব অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন জাফর এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। তাঁদের মধ্যে কেউ পরিবারের বাকিদের থেকে দলছুট হয়ে পড়েছেন, কেউ আবার গুলির শব্দ এখনও যেন শুনতে পাচ্ছেন।
জাফর এক্সপ্রেসে পণবন্দি দশা থেকে ছাড়া পেয়ে মহম্মদ বিল্লাল নামের এক পাকিস্তানি জানিয়েছেন, “আমরা যে কীভাবে প্রাণ নিয়ে পালাতে পেরেছি, তা বর্ণনা করার মতো ভাষা নেই।” তবে তিনি এও জানিয়েছেন যে, পরিবারের বাকি সদস্যদের থেকে মাঝরাস্তায় আলাদা হয়ে গিয়েছেন তিনি। এমনকি তিনি এখনও জানেনই না যে, বাকিরা কোথায় এবং কীভাবে রয়েছে। পাশাপাশি, সেই ভয়ঙ্কর সময়ের কথা মনে করে এখনও শিউরে উঠছেন বিলাল।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইউক্রেন, রাশিয়া এবার কী করবে?
এদিকে জাফর এক্সপ্রেস থেকে জীবন হাতে নিয়ে ফিরে আল্লাহদিত্তা নামে আরেক যাত্রী বলেছেন হাইজ্যাকের মুহূর্তের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। তিনি বলেন, “বিদ্রোহীরা যখন চার দিক থেকে ট্রেনটি ঘিরে ফেলেছিলেন, তখনই একটি বিস্ফোরণের শব্দ কানে আসে। তার পর থেকে শুরু হয় অবিরাম গুলিবর্ষণ। আতঙ্কে সকলে সিটের নীচে লুকিয়ে পড়তে শুরু করেন।” তিনি আরও বলেন যে, হাইজ্যাকের পর প্রথমেই পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা করে দাঁড় করিয়ে শুরু করা হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তবে হৃদরোগী হওয়ার কারণে তাঁকে রেহাই দেওয়া হয় বলে জানান আল্লাহদিত্তা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে কাচ্চি বোলান জেলার পেহরো কুনরি এবং গাদালার মধ্যবর্তী এলাকায় আটকে দেয় স্বাধীনতাপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী বিএলএ। ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে শতাধিক যাত্রীকে পণবন্দি করা হয়। ঘটনার দায় স্বীকার করে বিদ্রোহীরা বিবৃতি দিয়ে জানায়, যাত্রীদের মুক্তির শর্ত হিসেবে তাদের রাজনৈতিক দাবি মানতে হবে।
দেখুন আরও খবর: