বাঁকুড়া: মৃত্যু হলেও ভোটার তালিকায় (Voter list) জ্বল জ্বল করছে সেই ব্যাক্তিদের নাম৷ দুটি বুথে দলীয় সমীক্ষায় বেরিয়ে প্রায় ৩০ জন মৃত ভোটারের হদিশ। এই নিয়ে শাসক (TMC) ও বিরোধী শিবিরে (opposition Camp) শুরু হয়েছে তর্জা।
পরিবারের নাম বাদ দেওয়ার আবেদনের পরেও ভোটার তালিকায় এখন জীবিত তারা। বাঁকুড়ার (Bakura) ২ নং ব্লকের দুটি বুথে তৃণমূলের সমীক্ষায় বেরিয়ে এল ৩০ জনের মৃত ব্যাক্তির নাম।
যাদের কেউ পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন, কারো মৃত্যু হয়েছে দশ বছর আগে। কেউ আবার দু বছর আগে।
এই ঘটনার জন্য পারষ্পরিক দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে।
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের খাবারে ব্লেড, তুমুল উত্তেজনা
বাঁকুড়ার ২ নম্বর ব্লকের মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি দুটি গ্রাম লাদনা ও কেন্দবনি। দুটি গ্রামের ভোটারদের ভোটদানের জন্য রয়েছে পৃথক বুথ।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবাট ওই দুটি বুথে ভোটার লিস্ট হাতে নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে তালিকা খতিয়ে দেখতে বের হন তৃণমূলের ব্লক ও স্থানীয় নেতৃত্ব। এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাঁরা দেখেন ওই দুই গ্রামের ভোটার তালিকায় এমন ২৫ থেকে ৩০ জন গ্রামবাসীর নাম রয়েছে যাদের সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি ওই তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের কারো মৃত্যু হয়েছে ৫ বছর আগে আবার কারো মৃত্যু হয়েছে ১০ বছর আগে।
স্থানীয়দের দাবি পরিবারের তরফে ভোটারদের মৃত্যুর তথ্য স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে জানানো হলে রেশন সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ভোটার তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়নি আজও।
মৃত ভোটারদের এভাবে ভোটার তালিকায় নাম থেকে যাওয়া নিয়ে পারষ্পরিক দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে।
তৃণমূলের দাবি সরকারি দফতরগুলিতে এখনো বামপন্থী কর্মীদের প্রভাব রয়েছে। সেই কর্মীরাই বিজেপির সঙ্গে যোগসাজস করে মৃতদের নাম ভোটার তালিকায় রেখে দিয়েছে। বামেদের পাল্টা দাবি বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাত সারা রাজ্যের মানুষ জানেন। ভোটে কারচুপি করার ক্ষেত্রেও তৃণমূল সিদ্ধহস্ত। এখন নিজেদের ভাবমূর্তি উদ্ধার করতে তারা এই সব করে বেড়াচ্ছে। কিন্তু তাতে লাভ কিছু হবে না। বিজেপির দাবি রাজ্য সরকারি কর্মীদের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন ও বিয়োজন করে থাকে।
এক্ষেত্রে মৃত ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বিয়োজন করা না হয়ে থাকলে তার সম্পূর্ণ দায় রাজ্যের।
দেখুন অন্য খবর: