পুরুলিয়া: রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া এবার পুরুলিয়ায়। স্ত্রীর মৃতদেহ আগলে রেখেছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে, পুরুলিয়ার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সেফডাঙা কাশীনাথ চক্রবর্তি লেনের ডুমুরতল এলাকার। সূত্রের খবর, এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তার স্ত্রীর মৃতদেহ আগলে রেখেছিলেন। এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়ালে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
শহরের এমএম প্রাইমারি স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক পঙ্কজ সেনগুপ্ত। তার স্ত্রী শিখা সেনগুপ্ত (৭২) একসময় একটি বেসরকারি প্রাইমারী স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। অবসর গ্রহণের আগেই তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। নিঃসন্তান এই পরিবারে স্বামী স্ত্রী ছাড়া আর কেউ ছিল না। ওই এলাকায় তাদের অন্যান্য আত্মীয়রা থাকলেও তাদের সঙ্গে কোনও রকমের সম্পর্ক ছিল না। বেশকয়েকদিন ধরে এলাকায় শিখাদেবীকে দেখতে পাননি।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে বহুতল থেকে পড়ে মৃত্যু বাংলার শ্রমিকের
সোমবার সকালে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়ায়। স্থানীয়রা খবর দেন এলাকার কাউন্সিলরকে। তিনি বাড়ির ভিতরে যাওয়ার চেস্টা করলেও বাড়ির ভিতর থেকে দরজা খোলা হয়নি। পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজে পাঠায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মনে করা হচ্ছে বেশ কয়েকদিন আগেই মারা গিয়েছেন শিখা দেবী। তার মৃতদেহ রান্না ঘরের পাশেই পরে ছিল। যদিও পঙ্কজ সেনগুপ্তের দাবি, গতকাল রাত্রি ১২টায় তিনি পরে জান। তারপরেই তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের বক্তব্য তিনি খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।