আগরতলা: ত্রিপুরার আদালতে আগাম জামিন নিলেন তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে জামিন নিয়েছেন ২৩ জন কর্মী। এসডিএম-এর মামলার ভিত্তিতে আগাম জামিন নিয়েছেন তাঁরা। বিপ্লব দেব সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে বৃহস্পতিবারই ত্রিপুরায় যাচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও।
আরও পড়ুন: PK বলেই IPAC এর সদস্যদের ভয় পাচ্ছে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার: তৃণমূল
কোভিডের কারণ দেখিয়ে আইপ্যাকের ২৩ কর্মীকে রবিবার রাত থেকে আগরতলার একটি হোটেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা করেছিল ত্রিপুরা পুলিশ। ১ অগস্ট পূর্ব আগরতলা থানায় হাজিরা দিতে বলে টিম পিকে-র সদস্যদের সমন পাঠায় পুলিশ। ত্রিপুরা পুলিশের দাবি, কোভিড পরীক্ষা না করিয়েই আইপ্যাকের সদস্যরা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। কোভিড পরীক্ষার পরে তাঁদের মহামারি আইনে সমন পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় আটকে দেওয়া হল IPAC এর সদস্যদের
বৃহস্পতিবার আগরতলার হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল। উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক ও ডেরেক ও’ ব্রায়েন। ডেরেকের অভিযোগ, গুজরাট মডেলে শাসন চলছে ত্রিপুরায়। সাধারণ মানুষ বঞ্চিত। দিল্লির নির্দেশে পিকের টিমের সদস্যদের আটকে রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, ত্রিপুরাতেও খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকেই তৃণমূলে যোগদানের জন্য যোগাযোগ করেছেন।