সিরিয়ালে চমক আনতে দুর্গাপুজো, দোল উৎসব, লক্ষ্মীপুজো সহ বাঙালির পরিচিত উৎসবগুলিকে তুলে ধরার রেওয়াজ অনেক আগের।দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে ফুলকি। টিআরপির তালিকায় রয়েছে প্রথম পাঁচে। তাই সেসব থেকে বেরিয়ে এবার একটু আউট অফ দা বক্স ভাবনা ‘ফুলকি’ সিরিয়ালের। আয়োজন করলেন ইলিশ উৎসবের। ইলিশ একা একা থাকতে পারে না। সপরিবার বেঁধে বেঁধে থাকে। ছোট-বড় সকলেই।ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিরই একটা রকমফের। এই বৃষ্টির পর ইলিশেরা উতলা হয়ে হঠে। কিছু দিন সাগরে, তো কিছু দিন নদীতে। নোনা জলের দেশে থাকে ইলিশ। ওটা তার শ্বশুরবাড়ি। সন্তানের জন্ম দিতে ইলিশকে বাপের বাড়ি আসতে হয়। মিষ্টি জলের নদী ইলিশের বাপের বাড়ি। ইলিশের মা হল গঙ্গা আর মাসি পদ্মা। বছরে দু’বার বর্ষা আর শীতে ডিম ফুটিয়ে সন্তানের জন্ম দিতে ইলিশকে আসতে হয় মা-মাসির কাছে। ঝাঁক বেঁধে সমুদ্র থেকে যখন ওরা ঢোকে নদীর বুকে, তখন তাকেই বলে অ্যানাড্রোমাস পরিযাণ। গঙ্গা ভাগীরথী হুগলি রূপনারায়ণ ব্রহ্মপুত্র গোদাবরী নর্মদা তাপ্তী পদ্মা যমুনা মেঘনা কর্ণফুলি ইরাবতী সবেতেই সাগর উজিয়ে ইলিশ আসে।
‘ফুলকি’ সিরিয়ালে খলনায়িকা ঈশিতা ইলিশ উৎসবে নিয়ে এসেছে শহরের মন্ত্রীকে। আর সেখানেই ঘটতে চলেছে এক বিরাট অঘটন। তারই মাঝে ফুলকির সেটে চলছে ইলিশ উৎসবের প্রস্তুতি। এদিনের সেট সাজানো হয়েছে গ্রামবাংলার রূপে। লাল শালু দিয়ে সাজানো চারিদিক ইলিশ উৎসবকে সফল করতে ব্যস্ত সবাই। ফুলকিকে এই পর্বে দেখা যাবে একেবারে অন্যরকম রূপে। এরই মাঝ্যে চেনার উপায় নেই ফুলকিকে হাতে হলুদ, সবুজ কাচের চুড়ি। ভ্রুতে রং একেবারে গ্রামীণ রূপে।
এরই মাঝে একটা প্রশ্ন, সেটে হচ্ছেন ইলিশ উৎসব আর কলাকুশলীদের পাতে তা কী করে হয়? তবে অভিনেত্রী কি পছন্দ করেন ইলিশ খেতে?
এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, তাঁর বাড়িতে সবাই আমিষ খেলেও তিনি নিরামিষ খান। আসলে দিব্যাপী কৃষ্ণভক্ত এবং নিয়মিত ইস্তনে যান। তিনি মাছ, মাংস, ডিম কোনওটাই খান না। সুতরাং ইলিশের স্বাদ থেকে তাকে বঞ্চিত থাকতে হবে।