কলকাতা: রামায়ণের (Ramayan) কাহিনি আমাদের প্রত্যেকের জানা। তবে আমরা যতটা জানি, তার চেয়েও বেশি আরও কিছু তথ্য রয়েছে যা নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয় না। রামায়ণ অনুসারে, অযোধ্যা (Ayodha) মানবজাতির পূর্বপুরুষ মনু দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রামায়ণ এবং মহাভারত উভয়ই অযোধ্যাকে রাম ও দশরথ সহ কোশলের ইক্ষাকু রাজবংশের রাজধানী হিসাবে বর্ণনা করেছে। কিন্তু রামায়ণের যুগে কেমন দেখতে ছিল এই অযোধ্যা? এবার সেই রাম রাজ্য অযোধ্যার ছবি তৈরি করল কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা।
আরও পড়ুন:Gadar 2 | Trailer | Sunny Deol | মুক্তি পেল ‘গদর ২’-র ট্রেলার,নজর কাড়লেন সানি দেওল,উৎকর্ষ শর্মা
রামায়ণে, অযোধ্যা বলে যে শহরটির উল্লেখ রয়েছে, একসময় রাজা দশরথ সেখানে শাসন করতেন। এদিকে, পিতৃ সত্য পালন করতে গিয়ে ১৪ বছরের বনবাসে গিয়েছিলেন শ্রী রাম। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সীতা এবং ভাই লক্ষ্মণ। আর এই ১৪ বছর সময়ে দেশের বহু স্থান ভ্রমণ করেছিলেন রাম, লক্ষ্ণণ এবং সীতা। উত্তর ভারতের অযোধ্যা থেকে দক্ষিণ ভারত পর্যন্ত ভ্রমণ করেছিলেন শ্রী রাম। উত্তর কাণ্ড অনুসারে, রাম তার রাজত্বের শেষের দিকে রাজ্যটিকে উত্তর ও দক্ষিণ কোশলে বিভক্ত করেন। যার রাজধানী ছিল যথাক্রমে শ্রাবস্তী এবং কুশবতী। এই দুই রাজ্য শাসন করার জন্য তার দুই পুত্র লব এবং কুশকে নিযুক্ত করা হয়।
এদিকে, রাম স্বয়ং শহরের সমস্ত বাসিন্দাদের নিয়ে সরয়ু নদীর জলে প্রবেশ করেন এবং স্বর্গে আরোহণ করেন। মহাভারত অনুসারে, তারা যেখানে আরোহণ করেছিল সেটি হল গোপ্রতার তীর্থ। অযোধ্যা পরবর্তীকালে রাজা ঋষভ দ্বারা পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল। রামের গল্পের উপর ভিত্তি করে আরও বেশ কিছু সাহিত্যেও অযোধ্যার উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতক বা তার আগে কবি ভাসের লেখা অভিষেক ও প্রতিমানাটক এবং পঞ্চম শতাব্দীতে লেখা কালিদাসের রঘুবংশ। জৈন ঐতিহ্য অনুসারে, ঋষভনাথ, অজিতনাথ, অভিনন্দননাথ, সুমতিনাথ এবং অনন্তনাথ সহ পাঁচজন তীর্থঙ্কর অযোধ্যায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বি.বি.লাল এবং এইচ.ডি. সাঙ্কালিয়া সহ অনেক আধুনিক পণ্ডিত ও ঐতিহাসিক কিংবদন্তীর অযোধ্যাকে বর্তমান অযোধ্যা শহরের আগের রুপ বলে বর্ননা করেছেন। তাদের মতে বর্তমান অযোধ্যাই ছিল প্রাচীন অযোধ্যার অবস্থান।