প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত বিদেশিদের কাছে ভারত এক রহস্যময় দেশ। জাদুর দেশ। আর এই জাদুর টানেই লক্ষ লক্ষ পর্যটক (Tourist) প্রতি বছর ভারতে (India) আসেন। বিশ্বের মানচিত্রে অনেক খুঁজেও সেসব দেশের খোঁজ মিলত না। ঠিক সেরকমই একটি স্থান রয়েছে আমাদের দেশে। রহস্যময় সেই স্থানের নাম শাংরি-লা উপত্যকা। শংরি-লা ভ্যালি আসলে কি? এই উপত্যকাটিকে বহিঃ বিশ্বের প্রবেশদ্বার বলে মনে করা হয়। যে কোনও বস্তু বা ব্যক্তি এই উপত্যকায় প্রবেশ করলে নাকি তাদের অস্তিত্ব পৃথিবী থেকে মুছে যায়। তারা আর ফিরে আসে না। চিনের সেনাবাহিনী এই স্থানটি বহুবার খুঁজে বের করার চেষ্টা করেও অসফল হয়েছে।
আরও পড়ুন: Ramayan | Ranbir | Alia | Yash | ‘রাম-সীতা’ রণবীর-আলিয়া
আধ্যাত্মিক মাহাত্ম্য বাস্তবে স্থানটির খোঁজ না মিললেও সারা বিশ্বের তন্ত্র জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলনের সঙ্গে এর নাম জড়িত। এটি নাকি বিশ্বের অন্যতম আধ্যাত্মিক কেন্দ্র। বেদ, মহাভারত এবং রামায়ণেও-এর উল্লেখ রয়েছে। প্রাচীন তিব্বতি ধর্মগ্রন্থেও এই স্থানের উল্লেখ করা হয়েছে। তিব্বতীয় বৌদ্ধদের বিশ্বাস, তাঁদের নিরাপত্তার জন্য নবম শতাব্দীতে এই সুন্দর এবং পবিত্র আশ্রয়স্থলটি প্রতিষ্ঠা করা হযেছিল।
শাংরি-লা-র হদিশ শাংরি লা উপত্যকার নাম নাকি প্রথম শোনা গিয়েছিল ১৯৩০ সাল নাগাদ। ভারত থেকে পেশোয়ারগামী একটি বিমান মাঝপথে ভেঙে পড়ে। চার ব্যক্তি নিখোঁজ হন। সেই নিখোঁজেরাই নাকি সন্ধান পেয়েছিলেন শাংরি লা উপত্যকার। তাঁরা নিক সেখানে স্বচক্ষে দেকেছিলেন যে ওই উপত্যকায় নিবাসী সাধুদের বয়স থমকে রয়েছে। তার পর সেখানেই থেকে গিয়েছিলেন তাঁরা। আর কখনও ফিরে আসেননি তাঁরা। তবে এই গল্প কীভাবে ছড়িয়ে পড়ল তার সঠিক ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারে না।