নয়াদিল্লি: রেললাইনের দুই পাশে থাকবে পাঁচিল। কোনও উপায়েই কেউ লাইনের উপরে আসতে পারবে না। যার ফলে ঘটবে না কোনও দুর্ঘটনা। বিঘ্ন এড়িয়ে দ্রুত গতিতে ট্রেন চালাতে এমনই পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় রেল।
আরও পড়ুন- মমতার ডাকে দিল্লিতে ২৮ জুলাই একজোট বিরোধীরা, আমন্ত্রিত বামেরাও
২০১০ সালে ভারতীয় রেলে বিপ্লব ঘটিয়ে চালু হয়েছিল দূরন্ত এক্সপ্রেস। যা ছিল তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক প্রসুত। এবার সেই কায়দায় আরও দ্রুত গতিতে ট্রেন ছোঁটাতে চাইছে ভারতীয় রেল। সেই কারণে রেল লাইনের দুই পাশে পাচিল তোলার কথা ভাবতে শুরু করেছে রেল দফতর।
আরও পড়ুন- করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশে বিপুল পরিমান অক্সিজেন পাঠাল ভারতীয় রেল
ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে নতুন একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে যার নাম ‘মিশন সফর’। যার মাধ্যমে বর্তমানের থেকেও অনেক দ্রুত গতিতে ছুটবে দূরপাল্লার ট্রেন। বুলেট ট্রেন না হলেও তেমনই কিছু করতে চাইছে ভারতীয় রেল। অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো। এখন হাওড়া থেকে দিল্লি যেতে রেলপথে ১৬ ঘন্টা সময় লাগে। সেই সময়টা ১০ থেকে ১১ ঘণ্টায় কমিয়ে নিয়ে আসতে চাইছে ভারতীয় রেল।
আরও পড়ুন- ১৯৯১ সালের থেকেও ভয়ঙ্কর অবস্থায় ভারতের অর্থনীতি: মনমোহন সিং
কিন্তু এই প্রিকল্পনা বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে অনেক প্রতিকূলতা রয়েছে। খুব দ্রুত ট্রেন চললে লাইনের মাঝে কেউ চলে আসলে ঘটবে বড় অঘটন। ব্যক্তি ছাড়াও কোনও পশু বা গাড়িও এসে যেতে পারে। সেই সময়ে ট্রেন থামানো তো যাবেই না, মারাত্মক সংঘর্ষও হতে পারে। সেই কারণেই রেল লাইন বরাবর দুই পাশে পাঁচিল দেওয়ার কথা ভাবছে রেল দফতর।
আরও পড়ুন- কাশ্মীরে সরকারি আধিকারিকদের বাড়িতে অভিযান সিবিআইয়ের
হাওড়া-নয়াদিল্লি এবং মুম্বই-নয়াদিল্লি রুটজুড়ে লাইনের দুই পাশে পাঁচিল করার পরিকল্পনা করছে ভারতীয় রেল। উঁচু দেওয়ালের মাঝ বরাবর ছুটবে অতি দ্রুতগতির ট্রেন। প্রয়োজনে আলাদা লাইন, সিগন্যালিং এমনকি আলাদা বিদ্যুত্ জোগানের বিষয়েও আলোচনা করছে রেল। বিদ্যুতের বিষয়ে ডিভিসির সঙ্গে পরিকল্পনা চলছে।