কলকাতা: সূর্যের ছায়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলায়। সেই বদল বুঝিয়ে দেয় তখন সময় কত। এই ছায়াকে নির্ভুলভাবে তুলে ধরত প্রাচীন সূর্যঘড়ি (Sundial)। সূর্যঘড়ি এমন একটি কৌশল যা সূর্যের অবস্থান নির্ণয়ের মাধ্যমে সূর্যালোককে কাজে লাগিয়ে সময় নির্ধারণ করা হয়। বিগত দিনে সময় জানতে তেমন ভাবে ব্যবহার ছিল না ঘড়ির। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি সূর্য ঘড়ি রয়েছে গোবরডাঙার জমিদার বাড়ির পাশেও। অন্য জায়গার সূর্যঘড়ির থেকে গোবরডাঙা (Gobardanga) সূর্যঘড়ি আকারে এবং আয়তনে বেশ অনেকটাই বড়।
গোবরডাঙা এলাকায় প্রবেশের মুখেই আছে ঐতিহাসিক স্মৃতি, তবে অনেকেরই তা অজানা। ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া সূর্যঘড়ি আজও ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে। তবে হারিয়েছে তার কর্ম ক্ষমতা। সূর্যের আলো দিয়ে সময় নির্ধারণ করার সমস্ত অংশই আজ বিলুপ্তির পথে। অভিযোগ, উদাসীনতা কিংবা ঐতিহাসিক স্থাপত্য কে গুরুত্ব না দেওয়ায়, ধীরে ধীরে অস্তিত্ব সঙ্কটে গোবরডাঙার সূর্যঘড়ি।
আরও পড়ুন:Abir Chatterjee | Hoichoi | ‘ফেলুদা’, সোনাদার পর এবার নতুন গোয়েন্দা চরিত্রে আবির
জানা যায়, ১৮৬৮ সালে জমিদার সারদা প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় তৈরি করেছিলেন এই সূর্যঘড়ি। সাধারণ মানুষের যাতে সময় দেখতে অসুবিধে না হয়, সেই ভেবেই এই ঘড়ি তৈরি হয়। এই জন্য সারদা প্রসন্ন তৎকালীন শিক্ষা সচিব ও বিশিষ্ট গণিত বিশারদ হলিডে সাহেবের শরণাপন্ন হন। জমিদার সারদা প্রসন্নের অনুরোধে জমিদার বাড়ির পাশেই তৈরি করেছিলেন এই সূর্যঘড়ি। আজ রাস্তার ধারে অবহেলায় পড়ে রয়েছে এই ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন।
আজ রাস্তার ধারে অবহেলায় পড়ে রয়েছে এই ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্ন। পুরসভার তরফ থেকে কয়েক বছর আগে রং করা হলেও এই সূর্যঘড়ি সংরক্ষণের জন্য কোনও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রাচীন শহর গোবরডাঙার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই সূর্যঘড়ির, যা আজ কালের নিয়মে অচল। তবে আজও এই ঘড়ি ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে।